বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ৯ আগস্ট ২০২৪। আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর কেটে গিয়েছে ৬ মাস। ইতিমধ্যেই এই মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের (Sanjay Roy) সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। আমৃত্যু কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে তাঁকে। এদিকে সিবিআই সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে। এবার এই মামলাতেই সামনে আসছে বড় খবর!
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) নয়া মোড়?
শিয়ালদহ আদালত আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণার পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। কলকাতা পুলিশের এই প্রাক্তন সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁসির দাবি জানিয়েছে তারা। সেই কারণে এবার চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার সকল প্রমাণ এবং নথি নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালতে হস্তান্তর হতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, এই প্রামাণ্য নথির মধ্যে ২টি ট্রাঙ্ক, ১৭-১৮টি ফাইল রয়েছে। ২টি ট্রাঙ্কের মধ্যে ভিসেরা থেকে শুরু করে যে চাদরের ওপর আরজি করের (RG Kar Case) তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, সেই চাদর সহ ক্রাইম সিনের বেশ কিছু প্রমাণ রয়েছে। বৃহস্পতিবারই এই সকল প্রামাণ্য নথি কলকাতা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে এক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে আরেকটি জটিলতা।
আরও পড়ুনঃ বারবার কেন এরম করছেন? সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ, TET নিয়ে কী রায় এল?
শিয়ালদহ আদালতে (Sealdah Court) সঞ্জয় রায়ের সাজা ঘোষণা হয়ে গেলেও, আরজি কর কাণ্ডে প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের মামলা রয়েছে। সিবিআই এখনও অবধি চার্জশিট না দেওয়ায় বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে এই মামলার শুনানি শুরু হয়নি। এর মধ্যে উচ্চ আদালতে সকল প্রামাণ্য নথি হস্তান্তর করায় এই মামলা নিয়ে খানিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
প্রামাণ্য নথি ছাড়া বিচারক শুনানি করেন না। সেই কারণে আগামী দিনে আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) প্রমাণ লোপাটের এই মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা কিংবা বিচারপ্রক্রিয়া ঠিক কীভাবে এগোয় সেদিকে নজর থাকবে। সেই সঙ্গেই চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের এই ঘটনার সকল প্রমাণ এবং নথি হস্তান্তর হওয়ার পর কলকাতা হাইকোর্ট সঞ্জয়ের ফাঁসির আর্জি ক্ষেত্রে কী নির্দেশ দেয় সেটাও দেখার।