কংগ্রেস আমলে সুযোগ ছিল না, এখন অনেক সুবিধা! মোদী সরকারের প্রশংসা প্রাক্তন ক্রীড়াবিদের

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অ্যাথলেটিক্সে ১২১ বছরের খরা কাটিয়ে এবার সোনা জয় করেছে ভারত। শুধু তাই নয়, ভারতের অলিম্পিক প্রদর্শন যে যথেষ্ট ভালো এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিককেও ছাড়িয়ে গিয়েছে এবারের পারফরম্যান্স। বিভিন্ন রাউন্ডে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন ভারতীয় খেলোয়াড়রা। একটি সোনা, দুটি রূপো এবং চারটি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে মোট সাতটি পদক জিতে নিয়েছেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদরা। অন্যদিকে আবার পদকের খুব কাছাকাছি পৌঁছেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি অদিতি, কমলপ্রীত কিম্বা ভারতীয় মহিলা হকি দল। কিন্তু সকলের প্রদর্শনই এবার রীতিমত মুগ্ধ করেছে গোটা ভারতকে।

সেই সূত্র ধরেই এবার বড় বয়ান দিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ অঞ্জু ববি জর্জ। লংজাম্পে একাধিক আন্তর্জাতিক পদক রয়েছে অঞ্জুর নামে। প্যারিসে ২০০৩ ওয়র্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপস ইন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতায় লং জাম্প ইভেন্টে ব্রোঞ্জ পদক জয় করেন তিনি। জায়গা করে নেন ২০০৪ অ্যাথেন্স অলিম্পিকেও। কিন্তু ৬.৮৩ মিটার লাফ দিয়ে নিজের সর্বোচ্চ উজাড় করে দিলেও পঞ্চম স্থানে শেষ করতে হয় অঞ্জুকে। এরপর অবশ্য ২০০৫ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ ইন অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাতেও স্বর্ণপদক জয় করেন তিনি। এবার তার মুখেই শোনা গেল বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভুয়সী প্রশংসা। শুধু তাই নয় প্রাক্তন স্পোর্টস মিনিস্টার কিরন রিজ্জু এবং বর্তমান মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরেরও প্রশংসা করেন তিনি। তিনি পরিষ্কার জানান এই ধরনের সুযোগ তাদের সময় ছিল না।

ক্রীড়াবিষয়ক একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অঞ্জু বলেন, “আমাদের সময়ে, এমনকি আমাদের ক্রীড়ামন্ত্রীও অলিম্পিক গ্রামে একজন দর্শনার্থী ছিলেন। এমনকি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ পদক জেতার পরও ভারত ব্যাপকভাবে উদযাপন করেছিল কিন্তু মন্ত্রণালয়ের তরফে বড় কিছু করা হয়নি। হ্যাঁ, প্রধানমন্ত্রী (ড. মনমোহন সিংয়ের কথা উল্লেখ করে) আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, কিন্তু তাছাড়া কিছুই ছিল না। ”

বর্তমান ভারতে একজন ক্রীড়াবিদ হওয়া থেকে তিনি যেভাবে মিস করেন তা প্রকাশ করে অঞ্জু আরও বলেন, “আমাদের ভারত সরকার অনেক বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পদক জেতার পর তাদের সরাসরি ফোন করছেন। কেউই সুযোগ হারাতে চাইবে না। ভারতে বড় কিছু ঘটছে। আমি সত্যিই এই সময়ের স্বাচ্ছন্দ এবং সুযোগগুলি মিস করছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রী কিরন রিজ্জু যথেষ্ট উদ্যোগী ছিলেন। ‘স্পোর্টস ব্যাকগ্রাউন্ড’ থেকে এসেছেন বর্তমান ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। তাই ভারতীয় ক্রীড়াবিদদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আশাবাদী তিনি। যদিও অঞ্জু এও জানান এখনই হয়তো অ্যাথলেটিক্সের সব ধরনের ইভেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত সক্ষমতা ভারতের নেই। তবে ভারতীয় খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করছেন। আগামী দিনে ২০২৮ বা ২০৩২ অলিম্পিকে হয়তোবা এর সুফল মিলবে।

 

X