বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: এক সময় খেলতেন ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal) বিভিন্ন জুনিয়র বয়স ভিত্তিক দলে। ইস্টবেঙ্গলের জুনিয়র দলের হয়ে খেলেছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের (Manchester United) জুনিয়র দলের বিপক্ষেও। এত বয়সের সাথে সাথে ফুটবলে তার সাফল্যের হার বাড়েনি। এই নিয়ে ছিল ব্যক্তিগত আক্ষেপ। সেই সঙ্গে একাধিক পারিবারিক বিষয়ের চাপ। সব মিলিয়ে জীবন যেন হয়ে উঠেছিল অসহনীয়। তাই মাত্র ২৯ বছর বয়সেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন প্রদীপ বড়ুয়া।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার ৩ রা ফেব্রুয়ারি বাড়িতে নিজের বোনকে ফোন করেন তিনি এবং ফোনটি লাউড স্পিকারে রাখতে বলেন। কাঁদতে কাঁদতে নিজের পরিবারকে তাদের খেয়াল রাখতে বলেন এবং তার মৃত্যুর জন্য যে কেউ দায়ী নয়, সেই কথাও বলেন। এরপর ব্যতিব্যস্ত হয়ে তার পরিবার তার খোঁজ শুরু করে এবং থানায় মিসিং ডায়েরিও করা হয়।
তিনি অশোকনগর কল্যাণগড় পৌরসভার বাসিন্দা ছিলেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাকপুল কল্পতর এলাকার ঘটানা এটি। খোঁজাখুঁজির পর বাড়ির কাছেই আম বাগানে মেলে প্রদীপের ঝুলন্ত দেহ। এই ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে তার পরিবার এবং তার প্রতিবেশীদের মধ্যে।
জুনিয়র বয়স ভিত্তিক পর্যায়ে যতটা সুনাম নিয়ে খেলেছিলেন বড় হয়ে ততটা সাফল্য পাননি। এই হতাশার পাশাপাশি নিজের ব্যবসা নিয়েও ছিল আক্ষেপ। নিজের জলের ব্যবসা চালাতেন যার মধ্যে সম্প্রতি কিছু সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। মন ভালো ছিল না তার।
নিজে বড় ফুটবলার না হতে পারার আক্ষেপের পাশাপাশি নিজের বোনের বিয়ে এবং ভাইয়ের পরবর্তী জীবন নিয়ে অত্যন্ত বেশি চিন্তিত থাকতেন প্রদীপ। কিন্তু ফুটবলার না হতে পারার হতাশা যে তার মৃত্যুর কারণ তা বোঝা গেছে একটি নারকীয় দৃশ্য দেখে। নিজে আত্মহত্যা করার সময় ফুটবলের বুট জার্সি পরে গাছে ফাঁস লাগিয়েছিলেন এবং সেই অবস্থাতেই তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তবে অশোকনগর থানার পুলিশ সত্যিই এটি আত্মহত্যা নাকি তাকে কোনভাবে প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল সেই ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে।