চলে গেলেন ইস্টবেঙ্গল ও ভারতের জার্সিতে ইতিহাস তৈরি করা পরিমল দে! জংলার শোকে কাতর ময়দান  

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: তিনি কলকাতা ময়দানে পরিচিত ছিলেন জংলা নামে। খেলেছেন বাংলার দুই প্রধানেই। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক আইএফএ শিল্ড (IFA Shield) জয়ী ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্যও ছিলেন তিনি। এখানে পরিমল দে-র (Parimal Dey) অবশেষে ইহলোকের মায়া কাটিয়ে পরলোক যাত্রা করলেন। আজ অর্থাৎ ১লা ফেব্রুয়ারি নিজের কসবার বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ময়দানের প্রাক্তন তারকা।

এমনটা যে হতে পারে সেটা পরিমল দে-র ঘনিষ্ঠ মহলে অনেকেই জানতেন। দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। আক্রান্ত হয়েছিলেন অ্যালঝাইমার্সেও। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। এখন পৃথিবীতে রেখে গেলেন তার ছেলেকে। আর ১৪ বছর আগেই নিজের স্ত্রীকেও হারিয়েছিলেন পরিমলবাবু।

তার কথা নিয়ে আলোচনা উঠলে আজও নস্টালজিয়ায় আক্রান্ত হন বয়স্ক বাঙালি ফুটবলপ্রেমীরা। প্রথমে বালি প্রতিভা এবং তারপর উয়াড়ির জার্সিতে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে সকলের নজরে আসেন তিনি। ১৯৬৪ সালে তিনি যোগ দেন লাল হলুদ ক্লাবে। ইস্টবেঙ্গলে তুলসীদাস বলরামের মতো ফুটবলারের অভাব অনেকটা পূরণ করে দিয়েছিলেন তিনি।

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার সময় তিনি বাংলার এবং ভারতীয় ফুটবল দলের সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৬৬ সালে মারডেকায় দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে তার একমাত্র গোলে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল ভারত। এরপর রাতারাতি বাংলার ফুটবল প্রেমীদের নয়নের মনি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে ফুটবল জীবনে তার সবচেয়ে বড় অর্জন এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতেই।

১৯৭০ সালে ইরানের পাস ক্লাবকে হারিয়ে ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাস তৈরি করেছিল ইস্টবেঙ্গল। ওই ম্যাচের জয় সূচক গোলটি এসেছিল পরিমলের পা থেকেই। ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে মোট ৮১ গোল করেছিলেন তিনি এবং টানা নয় ম্যাচে গোল করার কৃতিত্ব ছিল তার নামের পাশে। লাল হলুদ জার্সিতে তিনি মোট আটটি মেজর ট্রফি জিতেছিলেন। মাঝে কিছুটা অভিমান নিয়ে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ছেড়ে মোহনবাগানে যোগ দিলেও দু’বছর পর ১৯৭৩ সালে ফের ইস্টবেঙ্গলে চলে আসেন তিনি।

 

Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর