বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিধ্বংসী মহামারী করোনা কিরে নিয়েছে একাধিক প্রাণ। রাজ্যেও বর্তমানে পরিস্থিতি ভীষণই ভয়াবহ। রোজই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন প্রায় শতাধিক মানুষ। এর আগেও দেহের বিভিন্ন মহলের বহু কৃতি ব্যক্তিকেই হারিয়েছি আমরা। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি নাম। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিরঘুমের দেশে চলে গেলেন নদিয়া শান্তিপুরের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। এর আগেই, কোভিড কেড়ে নিয়েছিল নদীয়া জেলারই তেহট্ট বিধানসভার বিদায়ী বিধায়ক গৌরী শঙ্কর দত্তকে। কিছুদিন আগেই উপসর্গ নিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু চিকিৎসকদের সার্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শেষ রক্ষা হয়নি। মৃত্যুকালে এই প্রবীণ বিধায়কের বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। এবার ফের একবার রাজনৈতিক মহলের শোকের ছায়া, চলে গেলেন শান্তিপুর বিধানসভার প্রায় ২৫ বছরের বিধায়ক অজয় দে।
মৃত্যুকালে অজয় বাবুর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। দিন পনেরো আগেই শরীরে কোভিডের উপসর্গ ধরা পড়ে তার। শান্তিপুর হাসপাতালে র্যাপিড টেস্ট করাতেই জানা যায় কোভিড রয়েছে তার শরীরে। প্রথমে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এই বর্ষীয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে। কিন্তু শারীরিক পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হওয়ায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় অজয় বাবুকে। বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনেও রাখা হয় তাকে। অবশেষে শুক্রবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার এই প্রানে স্বাভাবিকভাবেই শোকগ্রস্ত রাজনৈতিক মহল।
কংগ্রেসের হয়ে প্রায় ২৫ বছর শান্তিপুর বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন তিনি। এরপর দলবদল করে যোগদান তৃণমূল কংগ্রেসে। কিন্তু ২০১৬ সালে সিপিএম প্রার্থী অরিন্দম ভট্টাচার্যের কাছে প্রথমবার পরাজিত হন তিনি। তবে একুশের নির্বাচনেও তার ওপর রাস্তা দেখিয়ে ছিল দল। শান্তিপুর থেকে ফের একবার প্রার্থী করা হয় অজয়বাবুকেই। কিন্তু এবারও ফের একবার পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় অজয় বাবুকে। বর্ষীয়ান এই রাজনৈতিক নেতাকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। তবে অজয় বাবুর উপরে বরাবর আস্থা রেখে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। বর্তমানে তিনি ছিলেন শান্তিপুর পৌরসভার পুর-প্রশাসক। স্বাভাবিকভাবেই এই বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোকাহত দল।