বাংলা হান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানে (Pakistan) একের পর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটছে। পাশাপাশি, বেড়েছে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনাও। এমতাবস্থায়, এবার প্রকাশ্য দিবালোকে আততায়ীদের গুলিতে খুন হলেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আমির হামজা (Ameer Hamza)। এদিকে, এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানও। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পাকিস্তানের অন্তর্গত পাঞ্জাবের ঝিলম এলাকার লিলা ইন্টারচেঞ্জ এলাকায় এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফে চারজন অজ্ঞাতা আততায়ীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, কারা কারা নির্দিষ্টভাবে এই ঘটনার সাথে যুক্ত এবং কেন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার আমির হামজাকে খুন করা হল তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পাক পুলিশ। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, আমির হামজা হলেন সেই ব্যক্তি যিনি ২০১৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের সুঞ্জওয়ান সেনা শিবিরে হামলার অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন। উল্লেখ্য যে, ওই হামলায় দুই জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) সহ মোট পাঁচজন ভারতীয় সেনা জওয়ান এবং একজন সেনা জওয়ানের বাবা নিহত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ওই হামলায় ৬ জন মহিলা ও শিশু সহ ১০ জন আহত হন।
এদিকে, আমির হামজা পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ অফিসার ছিলেন। পাক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই হামলার সময়ে হামজার ভাই আইয়ুব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। মূলত, হামলার সময়ে তিনি মোটরসাইকেলে করে তাঁর ভাইয়ের গাড়ির পিছনে যাচ্ছিলেন। এদিকে, তিনি অভিযোগকারী হলেও বর্তমানে আইয়ুবও পুলিশের স্ক্যানারে রয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে অবসরের আগে আইয়ুব ইমারজেন্সি সার্ভিসেস অ্যাকাডেমির ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন।
আরও পড়ুন: আমেরিকাকে হুমকি দিয়ে এবার পস্তাচ্ছে চিন! খেলা ঘুরিয়ে বাইডেন বাড়িয়ে দিলেন জিনপিংয়ের চিন্তা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, এর আগে ঠিক একইভাবে আইএসআইয়ের এক আধিকারিক আমির সরফরাজ আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন। জানা গিয়েছে, গত সোমবার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার হামজা তাঁর স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ে অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীরা আচমকাই আমির হামজাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ওই আততায়ীরা বাইকে করে এসেছিল বলে খবর মিলেছে।
আরও পড়ুন: “বড় ভুল করেছে রেল”, সমালোচনায় সরব হলেন খোদ বন্দে ভারতের স্রষ্টা, স্পষ্ট জানালেন….
এদিকে, দুষ্কৃতীদের হামলায় আমির হামজার স্ত্রী এবং কন্যা সন্তানও গুলিবিদ্ধ হন। আততায়ীরা কোনও জিনিসপত্রের দাবি ছাড়াই ওই হামলা চালায়। এমতাবস্থায় হামলাটির পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিষয়টিকে “টার্গেট কিলিং” হিসেবে বিবেচনা করছে। পাশাপাশি, শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও, এই ঘটনায় সন্ত্রাসবাদের কোনো ধারা যুক্ত করা হয়নি।