বাংলা হান্ট ডেস্ক : দ্বিতীয় বার মোদী জমানার শুরু থেকেই দেশ আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়েছে। যদিও কেন্দ্রের তরফ থেকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং জিডিপি বৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে কিন্তু বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার অনেকটাই কম এবং অর্থনৈতিক সংকট অব্যাহত। কয়েক দিন আগেই ক্রিস্টাল না জর্জিয়া বিশ্বের অর্থনীতির প্রসঙ্গ তুলে ভারতের অর্থনৈতিক মন্দার কথা বলেন পাশাপাশি চলতি বছরে আরও কয়েকটা মাস ভারতকে এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
তবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি দুর্দশার জন্য তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এবং গভর্নর রঘুরাম রাজনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অভিযোগ ওঠে মনমোহনের জমানা থেকেই নাকি ব্যাংকগুলির অবস্থা খারাপ হতে শুরু করেছিল কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক যাই বলুক না কেন সমীক্ষা বলছে গত বছরের তুলনায় এ বছরেই নাকি আর্থিক বৃদ্ধির হার কম। তাই তো বৃহস্পতিবার নির্মলার অভিযোগের জবাব দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
একই সঙ্গে পাঞ্জাব মহারাষ্ট্র সমবায় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন মনমোহন সিংহ। তাই কেন্দ্র রিজার্ভ ব্যাংক এবং মহারাষ্ট্র সরকারকে যৌথ উদ্যোগে এই সমস্যা সমাধানেরপথ বাতলানো উচিত বলেও মনে করছেন তিনি। অন্য দিকে দেশের আর্থিক মন্দা কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানোর জন্য মনমোহন সিংহ চিনা পণ্যের আমদানি প্রতিরোধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন
কারণ তাঁর মতে চীনা পণ্যের আমদানির জন্য ভারতীয় বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আর তার জেরে ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই স্থিতিশীল হচ্ছে। বিশেষ করে সার ইলেকট্রনিক্স অটো ইত্যাদি চীনা যন্ত্রে যেভাবে ভারতীয় বাজার ছেয়ে গেছে তাতে ভারতকে এই ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাই সরকারের উদাসীনতা এবং অক্ষমতাকে দায়ী করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।