বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা হোক বা কলেজের পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের দু-পকেটে বা শরীরের বিভিন্ন জায়গা থেকে বের হয় কাগজের অবশিষ্টাংশ। কিন্তু যেভাবে লেখা থাকে তা হয়তো আপনিও অবাক হতে পারেন। অতীতের কোন প্রাচীন লিপি দেখে মনে হতে পারে। কখনো মনে হতে পারে এই তো এক নতুন সংস্কৃতি। না আপনি শুধু অবাক হবেন কেন? আপনি হয়তো অতীতে এমন কাজ করে থাকতে পারেন।
পরীক্ষা হলেই টুকলি এর পরিমাণ সত্যি যদি বিস্তার লাভ করে তবে অনেকটাই ছাত্রজীবনে ন্যায় নৈতিকতাবোধ রসাতলে চলে যায়। মানুষের বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলী কীভাবে তৈরি হয়, সেটা নিয়ে গবেষক মহলের কৌতূহল চিরকালীন। সম্প্রতি সানফ্রানসিসকোতে হওয়া একটি গবেষণা জানাচ্ছে, ছাত্রাবস্থায় যাঁরা পরীক্ষায় টুকে পাশ করেন, প্রাপ্তবয়সে এঁরাই অসৎ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকেন। বিশেষত, কর্মজীবনে এঁরা অসৎ হন বলেই দাবি এই গবেষণার। 250 জনকে নিয়েই গবেষণা করা হয়।
মনোবিজ্ঞানের ‘নেচার ভার্সেস নারচার’ দ্বৈরথ বহুদিনের। নেচার অর্থাৎ প্রকৃতিবাদীরা বিশ্বাস করেন, মানুষের মধ্যে যেসব গুণাবলী সেগুলো আসে তাঁর পরিবার থেকে জিনবাহিত হয়ে। আর একটি শিশুর জীবন শুরু হয় তার পরিবার থেকে এরপর তার বিদ্যালয় সেখানে এসেই যা দেখে বাজার অভ্যাস হয় তাকে সে বহন করে নিয়ে চলে জীবনে নারচার অর্থাৎ পরিবেশবাদীদের দাবি ছিল, চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তৈরি হতে পারে ভবিষ্যতেও।
নিজের চারপাশের পরিবেশ থেকে মানুষ যা শেখে, সেটার প্রতিফলনেই তৈরি হয় তাঁর ব্যক্তিত্ব। কিন্তু এই সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুসারে, সততা, ন্যায়বোধ, নিষ্ঠা, মমতা জাতীয় বৈশিষ্ট্যগুলো তৈরি হয় ছোট থেকেই।সেখানেই যখন এর অভাব ঘটে তখনই যেন অন্য বিপত্তি। যে সমস্ত ব্যক্তি ছোটবেলা থেকেই পরীক্ষায় অনুশোচনাহীন ভাবে টোকাটুকি করতে পারেন, পরবর্তীকালে চাকরির ক্ষেত্রে এঁরাই বিভিন্ন অনৈতিক কাজকে প্রশয় দেন। আর এখানে পরিষ্কার যে এই ধরনের কাজ যদি আর কোন আপনার শিশুরা করে থাকে তবে অবশ্যই তাকে বাধা দেন। নইলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে হবে কিন্তু