বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত সোমবার ডিএলএড (D.El.Ed) প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। এই ঘটনার পর একদিন যেতে না যেতেই ফের একবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে।
অভিযোগ, এদিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যে গোটা ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে একটি প্রশ্নপত্র। প্রথমে সেটি ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্ন বলে সন্দেহ করা হয় আর পরবর্তীতে তা নিশ্চিত করে পরীক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কিভাবে বারংবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে?
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে এসএসসি, প্রাথমিক টেটের পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে এসেছে। এক্ষেত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, সুবীরেশ ভট্টাচার্যের মতো তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী এবং শিক্ষা আধিকারিকরা হেফাজতে। একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসে চলেছে। এর মাঝেই গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ডিএলএড পার্ট-টু পরীক্ষা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। পরবর্তীতে সেই দায় মেনে নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, “কারোর দ্বারা পর্ষদ অর্থাৎ রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করা হয়ে চলেছে।” এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি তৈরির বিষয়ে আশ্বস্ত করেন পর্ষদ সভাপতি।
তবে এত আশ্বাস মাঝেও এদিন পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু মুহূর্তের মধ্যে ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে একটি প্রশ্নপত্র। সেটি যে ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্ন, পরবর্তীতে তা নিশ্চিত করে পরীক্ষার্থীরা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে, যেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর রাখার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নিয়ে প্রবেশে বাধা এবং অন্যান্য একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছে পর্ষদ, সেখানে পরপর কিভাবে প্রশ্ন ফাঁস হয়ে চলেছে? যার কোন সঠিক উত্তর এখনো পর্যন্ত দিতে পারেনি পর্ষদ।