পিঁড়িতে বর-কনের বচসা থেকে দু’পক্ষের হাতাহাতি! রণক্ষেত্র ধুপগুড়ির অনুষ্ঠান বাড়ি, ভাঙল বিয়েও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : চলছিল বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান। আমন্ত্রিত অতিথিরা আনন্দ করছেন নিজেদের মতো করে। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। বিয়ের আসরে কথা কাটাকাটি শুরু হল বর ও কনের। এরপর পাত্র ও পাত্রীপক্ষের হাতাহাতিতে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান হয়ে উঠল কুরুক্ষেত্র। অশান্তির মধ্যে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন পাত্রীর মামা। এরপর পাত্রী নিজেই ভেস্তে দিতে নববিবাহিতা বউকে ছাড়াই একা বাড়ি ফিরে গেলেন বর।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে ধুপগুড়ি বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সূত্রের খবর, ফুলবাড়ি এলাকার এক যুবকের সাথে মধ্য বরাগাড়ি এলাকার এক যুবতীর সম্বন্ধ করে বিয়ে স্থির হয় মঙ্গলবার। গত সাত মাস ধরে বিয়ের কথা এগোয়ে দুপক্ষের সম্মতিতেই। এরপর নির্দিষ্ট দিনে বিয়ে এগোয়ে নিয়ম মত। কিন্তু হঠাৎই তাল কাটে। পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষের মধ্যে বাসি বিয়ে নিয়ে শুরু হয় ঝামেলা।

পাত্রীপক্ষ অভিযোগ করেছে, পাত্রপক্ষের লোকজন মদ্যপ অবস্থায় তাদের বাড়ির লোকজনদের মেরেছেন। ঘটনার মাঝেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন পাত্রীর মামা। অভিযোগ এরপর পাত্র কাঁধে তুলে নিয়ে পাত্রীকে বিবাহ বাসর থেকে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু পাত্রী বাঁধা দেওয়ায় তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে পাত্রী নিজেই এই বিয়ে ভেস্তে দেন।

পাত্রীপক্ষ পাত্রপক্ষের লোকজনদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। ঝামেলার মাঝে পাত্র তার নববিবাহিতা বউকে কাঁধে তুলে নিয়ে পালাবার চেষ্টা করলে পাত্রী বাঁধা দেন। বাঁধা পেয়ে পাত্রটি পাত্রীকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। বিয়ের আসরেই পাত্রী বলেন, তিনি এই পরিবারে বিয়ে করবেন না। অবশেষে বউকে ছাড়াই বাড়ি ফিরে যান পাত্র।

অপরদিকে পাত্র জানিয়েছেন, “দুই রাতে দুই বিয়ে হবে প্রথমে এই স্থির ছিল। কিন্তু পাত্রীপক্ষ এক রাতেই বাসি বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বাধা দেওয়ায় ওদের লোক আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।” পাশাপাশি মদ্যপ অবস্থায় বিয়ে করতে যাওয়ার অভিযোগও অস্বীকার করেছেন পাত্র।

MARRIAGE 4

ঘটনা জানাজানি হতে মঙ্গলবার রাতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ধুপগুড়ি থানার পুলিশ। পাত্রসহ চারজনকে স্থানীয়রা আটকে রেখে ক্ষতিপূরণের দাবি জানায়। এরপর পঞ্চায়েতের সালিশি সভায় পাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিয়ে ভেস্তে যাওয়ায় পাত্রীর বাবা চোখে জল নিয়ে বলেছেন, “ধার করে বিয়ের টাকা জোগাড় করেছিলাম। সব ভন্ডুল হয়ে গেল।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর