বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সাধারণ মানুষ মারণ ভাইরাস করোনার জেরে পুরো দিশেহারা হয়ে গেছে। তাদের মুখে নিত্যদিনই শোনা যাচ্ছে করোনার প্রতিষেধক কবে আসবে বাজারে ৷ ভ্যাকসিন তৈরির কাজে কতটা সাফল্য পাওয়া গেল ? এই ধরণের অনেক প্রশ্নই প্রতিদিন ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে ৷ কিন্তু এর কোনও সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না ৷
কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধকের খোঁজে পরীক্ষা-নিরীক্ষা বেশ অনেকদিন ধরেই চালু করে দিয়েছে ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, চিনের মতো বিশ্বের অনেক দেশই ৷ কিছু সাফল্য পাওয়া গেলেও ভ্যাকসিন তৈরিতে পুরোপুরি সফল, এমন দাবি এখনও পর্যন্ত কোনও দেশই করতে পারেনি ৷ এবার যে তথ্য উঠে আসছে, তা অবশ্যই আশার খবর ৷ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হেপাটাইটিস সি-র (Hepatitis C) জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন ওষুধ করোনার চিকিৎসাতেও কাজে আসতে পারে ৷ সুপার কম্পিউটারে অনেক হিসেব-নিকেশের পর দেখা যাচ্ছে SARS-CoV-2 coronavirus-এর চিকিৎসায় কাজ দিতে পারে হেপাটাইটিস-সি-এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধগুলি ৷
এর পাশাপাশি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতাসম্পন্ন অ্যান্টিবডির খোঁজ মিলেছে বলে দাবি করছেন নেদারল্যান্ডসের ইউট্রেখট বিশ্ববিদ্যালয়, ইরাসমাস মেডিক্যাল সেন্টার এবং হারবার বায়োমেড-এর গবেষকরা। নেদারল্যান্ডসের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বেরেন্ড-ইয়ান-বশ বলছেন, ‘‘মানবদেহে সার্স-কোভ অ্যান্টিবডিকে ব্যবহার করেই এমন একটি অ্যান্টিবডির হদিস পাওয়া গিয়েছে যা সার্স-কোভ-২-এর সংক্রমণও রুখে দিতে পারে।’’
অত্যন্ত শক্তিশালী MOGON II সুপারকম্পিউটার ব্যবহার করে গত দু’মাস ধরে ৩০ বিলিয়নেরও বেশি হিসেব-নিকেশ করেছেন বিজ্ঞানীরা ৷ এর আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, সংক্রমণের ব্যাপারে হেপাটাইটিস ‘বি’ ও ‘সি’ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের নতুন করে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। যাদের অটো-ইমুইন হেপাটাইটিস জনিত লিভার রোগ আছে এবং যারা প্রেডনিসলিন অথবা এজিথাইওপ্রিন ব্যবহার করছেন, তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে ৷ এর জন্য কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি তাদের রয়েছে ৷ লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট পরবর্তী লিভার গ্রহীতা যারা ইমিউনোসাপ্রেসেন ওষুধ (রিজেকশন প্রতিরোধক) ব্যবহার করেন তাদেরও ঝুঁকি রয়েছে। কেননা এসব রোগীদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই কম। এই অবস্থায় যে কোনও ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।