বাম শাসনকালে মমতা সততার প্রতীক! এমনই লেখা থাকত দেওয়ালে দেওয়ালে। কিন্তু তৃণমূল ক্ষ্মতায় আসার পর থেকে তা দেখা যায়নি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই স্লোগান অনেক আগেই ত্যাগ করেছে তৃণমূল। সোমবার থেকে তৃণমূলে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্যাগ লাইন ‘বাংলার গর্ব মমতা’। এই দুটি বিষয়কে একসঙ্গে করেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
একটা সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (mamata bandyopadhya) বলতে শোনা যেত সিপিএম নেতাদের কথা। একটা বিড়ি তিনবার খেতেন তারা। আর তাঁদের বাড়ি, গাড়ির কথা। যদিও এই সময় মাঝারি থেকে উঠতি তৃণমূল নেতা এসইউভিব ছাড়া চলতে পারেন না। সেই টাকা কোথা থেকে আসছে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী নেতারা।
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। নাম বাংলার গর্ব মমতা। যাকে দিদিকে বলোর দ্বিতীয় ভাগও বলা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে ৭৫ দিনে ৭৫ হাজারের বেশি দলীয় নেতা-কর্মী সারা বাংলার ২.৫ কোটি মানুষের কাছে যাবেন। এই কর্মসূচি প্রশান্ত কিশোরেরর মস্তিস্কপ্রসূত।
সততার প্রতীক আর বাংলার গর্ব মমতা, এই দুটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেছেন মমতা এখনও আর সততার প্রতীক নন, সারদার প্রতীক। তাই তিনি আর ওই কথা লেখেন না। ঠিক একইরকম ভাবে বাংলার গর্ব মমতা ট্যাগ লাইনও মাঠে মারা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কটাক্ষ করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, বাড়ির শিশুরাও বাংলার গর্ব মমতা বিশ্বাস করবে না।