মঙ্গলে আবারও মিলল প্রাণের অস্তিত্ব! এবার বিজ্ঞানীদের হাতে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক: মঙ্গল (Mars) গ্রহে প্রাণের সন্ধানের লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা (Scientists) প্রতিনিয়ত গবেষণা করছেন। এমতাবস্থায়, এবার ওই গ্রহ সম্পর্কিত একটি বিরাট তথ্য সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গল গ্রহে সমুদ্র থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে, এর আগেও সেখানে জলের উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গ সামনে এসেছিল। এমতাবস্থায়, অনুমান করা হচ্ছে যে, লক্ষ লক্ষ বছর আগে সেখানে প্রাণও ছিল। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যেই গ্রহের উত্তরে একটি মহাসাগরের চিহ্ন খুঁজে পেতে মানচিত্রের ব্যবহার করছেন বলেও জানা গিয়েছে।

এই প্রসঙ্গে গবেষকরা জানিয়েছেন যে, মানচিত্রগুলি এখনও সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণের দিকে ইঙ্গিত করেছে। তাঁদের মতে, সমুদ্রের কারণে সেখানে গরম ও আর্দ্র আবহাওয়াও থাকতে পারে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, মঙ্গল গ্রহকে “লাল গ্রহ” নামেও অভিহিত করা হয়। মূলত, সেখানকার মাটির লৌহ খনিজে মরচে ধরার কারণে বায়ুমণ্ডল ও মাটি লাল রঙের দেখায়।

জীবনের অস্তিত্ব ছিল: এই প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য মিররের সাথে কথা বলার সময়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির লেখক বেঞ্জামিন কার্ডেনাস জানিয়েছেন, “এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে সবার প্রথমে মনে যা আসে তা হল, এই আকারের একটি মহাসাগর ইঙ্গিত দিতে পারে যে সেখানে অবশ্যই জীবন ছিল। এই ফলাফলগুলির উপর ভিত্তি করে, আমরা জানতে পারছি যে, একটি সময়ে এলাকাটি অবশ্যই যথেষ্ট উষ্ণ ছিল”।

কিভাবে মিলল প্রমাণ: মূলত, মঙ্গল গ্রহে একসময়ে সমুদ্র ছিল কি না তা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছে। এমতাবস্থায়, সামগ্রিকভাবে ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলিকে ব্যবহার করে দলটি হাজার হাজার বর্গ মাইল বিস্তৃত এবং কয়েক হাজার ফুট পুরু ৩.৫ বিলিয়ন বছরের পুরোনো একটি উপকূলরেখার স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েছে।

0 SWNS MARS OCEAN 001

কি জানতে পারা যাচ্ছে: জানা গিয়েছে, NASA-র Mars Orbiter Laser Altimeter থেকে ডেটা ম্যাপিং করার জন্য ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভে দ্বারা তৈরি করা সফ্টওয়্যার ব্যবহার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও, তাঁরা ৬,৫০০ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকাজুড়ে নদীর শৈলশিরাগুলির খোঁজ করে সেগুলিকে ২০ টি অংশে বিভক্ত করেছেন। যা থেকে জানা গিয়েছে যে, সেগুলি সম্ভবত একটি নদীর ব-দ্বীপ বা একটি প্রাচীন মঙ্গলীয় উপকূলরেখা। পাশাপাশি, যে এলাকাটিতে একসময় সমুদ্র ছিল সেটি এখন এওলিস ডোরসা নামেও পরিচিত। এছাড়া, সেখানে নদী শৈলশিরার সবচেয়ে ঘন অবস্থান রয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর