২০২০-২১ এর বাজেট মধ্যবিত্তকে খুশি করতে পারবে না, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা!

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ  আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট ও রেল বাজেট পেশ হতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে বাজের অধিবেশন শুরু হয়ে যাচ্ছে। সংসদে বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামাণ। এই বাজেটের দিকেই নজর এখন রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে আমজনতার। তবে, অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা যা মনে করছেন, এবারের বাজেটে খুব বেশি খুশি হতে পারবেন না মধ্যবিত্তরা।

নিত্য প্রয়োজনীয় একাধিক দ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে।বিশেষত, সাবান, শ্যাম্পু সহ অনেক জিনিসের দাম বাড়তে পারে।২০২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধির পরিমাণ ১২ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে মনে করছে আর্থনৈতিক মহল। সেক্ষেত্রে ৬ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত এ বছরে এবং আগামী অর্থবর্ষে ৮ থেকে ৯ শতাংশ পর্যন্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পে উন্নয়নের দন্য মোদি সরকার একাধিক জিনিসে শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে। প্রায় ৩০০ টি জিনিসে ট্যাক্স বৃদ্ধি হতে পারে।

তবে বিশেষজ্ঞরা এর পাশাপাশি আরও একটা বিষয়েও জোড় দিচ্ছে,  এই বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র শিল্পতে উত্সাহ পাবে ব্যবসায়ীরা। তাতে বৃদ্ধ পাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। চাকরির সুযোগও বাড়বে।

  • জুতোর ক্ষেত্রে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভবনা
  • রবারের টায়ারের ক্ষেত্রে ১০-১৫ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভবনা
  • কাঠের আসবাবপত্রে ১০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভবনা

আরও অনেক ক্ষেত্রেই শুল্ক বৃদ্ধির সম্ভনা রয়েছে এবারের বাজেটে।

সব কিছুর ক্ষেত্রে শুল্ক বাড়লে স্বভাবতই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির সম্ভবনা রয়েছে, যা মধ্যবিত্ত এ নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য চিন্তার বিষয় অবশ্যই হবে।

এদিকে করমুক্ত মদ কেনার বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ আনা হতে পারে।

রবি শস্য ও খারিফ শস্যের উত্পাদনের ক্ষেত্রে স্বস্তি দিতে পারে এবারের বাজেট, কারণ এ বছর ভালো বৃষ্টি হয়েছে। সবটাই সম্ভবনার খাতায় রয়েছে এখনও পর্যন্ত। আসল কি হতে চলেছে এবারের বাজেটে, তা আগামী ১ লা ফেব্রুয়ারি সংসদে ঘোষণা করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।