বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) কুশিনগর (Kushinagar) জেলার তুর্কপট্টি থানার বৈরাগী পট্টি গ্রামের একটি মসজিদে বিস্ফোরণ হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ১১ নভেম্বর হওয়া এই বিস্ফোটে প্রথমে স্থানীয় পুলিশ ব্যাটারির কারণে বিস্ফোট হওয়ার কথা জানায়। কিন্তু এবার মসজিদ থেকে বিস্ফোটক পদার্থ পাওয়ার পর পুলিশ আবার নতুন করে তদন্তে নেমেছে। এই মামলায় মসজিদের মৌলবী সমেত সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলা দায়ের করার পর মৌলবী সমের চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ধামাকার সূচনা পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে এটিএস পরীক্ষা নিরীক্ষা চালায়। এটিএসের তদন্তের পর বিস্ফোটকে ধামাকা হওয়ার কথা সামনে আসে। লো গ্রেড বিস্ফোটক পদার্থের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে জানা যায়। শোনা যাচ্ছে যে, বোমা বানানোর জন্য এই বিস্ফোটক পদার্থ মসজিদে রাখা হয়েছিল।
পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতার হওয়া মৌলবী পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আরেকদিকে ওই গ্রামের বাসিন্দা কুতুবুদ্দিনের নাম সামনে এসেছে। সোনা যাচ্ছে যে, হাজি কুতুবুদ্দিন নামের ওই ব্যাক্তি এবছরের এপ্রিল মাসে মসজিদের বিস্ফোটক পদার্থ এনে রেখেছিল। শোনা যাচ্ছে যে, বিস্ফোরণের পর হাজি কুতুবুদ্দিন এলাকা ছেড়ে পালায়। পুলিশ অনুযায়ী, কুতুবউদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক কয়েকটি অপরাধিক মামলা দায়ের ছিল। আপাতত এটিএস মসজিদের মৌলবীর কাছে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত চার জনকে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনায় মুখ্য অভিযুক্ত হাজি কুতুবউদ্দিন সমেত টি অভিযুক্ত এখনো পলাতক। মৌলবী ছাড়া বাকি তিন গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত নাবালিক বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশ জানায় যে, এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ভাঙার জন্য মসজিদের বোমা বানানোর কাজ চলত। এসপি অনুযায়ী, হাজি কুতুবউদ্দিন এর আগে পিডাব্লিউডি বিভাগে কাজ করতেন। সেখান থেকে অবসর হওয়ার পর অপরাধের জীবন বেছে নিয়েছে।