বাংলা হান্ট ডেস্ক : অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা (Fumio Kishida)। জাপানের (Japan) ওয়াকায়ামা শহরে তিনি একটি সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়েছিলেন। সেই সময়ই বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, পাইপের মতো একটি জিনিস প্রধানমন্ত্রী কিশিদার মঞ্চের সামনে ছুঁড়ে মারা হয়। সেখান থেকেই বিস্ফোরণ (Blast) হয়। মনে করা হচ্ছে, স্মোক বা পাইপ বোমা দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার উপরে। ইতিমধ্যেই সন্দেহভাজন একজনকে আটক করেছে পুলিস ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা।
জানা যাচ্ছে, ভারী লোহার পাইপের টুকরোর মতো একটি বস্তুর ভিতরে বিস্ফোরক রাখা ছিল। ঘটনার পরেই দ্রুত কিশিদাকে সরিয়ে নিয়ে যান তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। বিস্ফোরণের পরই সভাস্থলে শুরু হয়ে যায় আতঙ্কিত দর্শকদের। পরে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়ে এক ব্যক্তিকে।
জাপানের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, শনিবার ওয়াকাহামায় একটি মৎস্য বন্দরে সফরের সময় কিশিদা ভাষণ শুরু করার পরই সেই ঘটনা ঘটেছে। এনএইচকে টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গিয়েছে যে বিস্ফোরণের শব্দের পরই আতঙ্কে মানুষজন দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তারইমধ্যে এক ব্যক্তিকে ধরে মাটিতে ফেলে দেন পুলিশ আধিকারিকরা। সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে একাধিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
গত বছর জুলাই মাসে পশ্চিম জাপানের নারা শহরে একটি কর্মসূচিতে বক্তৃতা করার সময় জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন এক আততায়ী। গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে শিনজোকে ‘মৃত’ ঘোষণা করা হয়। পরে জানা যায় আততায়ীর নাম টেটসুয়া ইয়ামাগামি। নারা শহরেরই বাসিন্দা ওই ব্যক্তি।