বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর অগাস্ট মাসে গরু পাচার কাণ্ডে (Cow Smuggling Case) গ্রেফতার হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। নিজের বাড়ি থেকেই সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন তিনি। ২২ পেরিয়ে ২৩, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শ্রীঘরের চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছে বীরভূমের বাঘ।
প্রথমে বাংলাতেই ছিলেন কেষ্ট। কিন্তু পরে প্রভাবশালী তত্ত্বে তাকে রাজ্যে সীমানা ছাড়িয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান তদন্তকারীরা। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর অবশেষে অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি পাড়ি দেয় ইডি। বর্তমানে তার ঠিকানা হয়েছে দিল্লির তিহাড়। কেষ্ট দিল্লিতে যাওয়ার কিছুদিন পরই তার কন্যা সুকন্যাও গরু পাচার মামালায় গ্রেফতার হন। মেয়ে সহ এখন সেখানেই রয়েছেন অনুব্রত।
আগের বছর দুর্গাপুজোর দুমাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত। এবারও দুর্গা পুজোও জেলেই কাটবে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। গ্রেফতারির পর থেকে নানা কারণ দেখিয়ে একাধিকবার জামিনের আবেদন জানিয়েছেন অনুব্রত। তবে নিম্ন আদালত ও কলকাতা হাই কোর্ট অনুব্রতের বিরুদ্ধে জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। এরপর সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জামিনের আর্জি জানিয়েছেন অনুব্রত।
আরও পড়ুন: ‘আমি কোথায়, কত…’, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে এই প্রথম মুখ খুললেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক
গতকাল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু ও বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ এই মামালার অগ্রগতি নিয়ে সিবিআই-এর কাছে জানতে চান। উত্তরে সিবিআই বলে তদন্ত চলছে। অনুব্রতের আইনজীবীরা আদালতে সওয়াল করে বলেন, গরু পাচারের মূল অভিযুক্ত সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
এরপর অনুব্রতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে জামিনের বিরোধীতা করে সিবিআই। নিম্ন আদালতের বিচারককে হুমকি দিয়েছেন অনুব্রত, আদালতে সওয়াল CBI-র। অভিযোগ শুনে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, বিষয়টি হাই কোর্টের নজরে আনা হোক। এরপরই এই নিয়ে জবাব দিতে অনুব্রতকে এক সপ্তাহ সময় দেন বিচারপতি। পাশাপাশি তথ্য দিতে সিবিআইকে ৩ সপ্তাহ সময় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ৪ সপ্তাহ পর।