বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে বীরভূম (Birbhum) জেলার একাধিক স্থান থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা বাংলা জুড়ে। এক্ষেত্রে বড়সড় নাশকতার ছক থাকার সন্দেহে তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। কয়েকদিন পূর্বেই রামপুরহাটের (Rampurhat) রোদিপুর গ্রাম থেকে বিশাল পরিমাণ ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় আর এবার ঐ ধৃত দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে উক্ত স্থান থেকে পুনরায় একবার উদ্ধার হলো বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক। সূত্রের খবর, নাশকতার এই জাল কতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত, তার সন্ধান চালাতেই বর্তমানে আরো নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বেই বীরভূম জেলার রামপুরহাটের রোদিপুর গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ডিটোনেটর। এক্ষেত্রে একটি বাইক সহ বিন্দু মণ্ডল এবং তাজেরুল ইসলাম নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ এবং অভিযুক্তদের কাছ থেকেই মেলে বিস্ফোরক। প্রসঙ্গত, পাথর শিল্পে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য ব্যবহৃত ডিটোনেটর লাইসেন্স ছাড়া ক্রয় কিংবা বিক্রয় করা আইনবিরুদ্ধ। ফলে অভিযুক্তদের কাছে এত বিপুল পরিমাণ ডিটোনেটর কোথা থেকে এল, তা জানতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
সূত্রের খবর, গত দুদিন ধরে পুলিশি জেরার মুখে অবশেষে মুখ খোলে অভিযুক্তরা এবং পরবর্তীতে সেই সূত্র ধরে রোদিপুর গ্রামের একটি স্থান থেকেই এদিন প্রায় ৫০০ পিস জিলেটিন স্টিক উদ্ধার করলো রামপুরহাট থানার পুলিশ। এক্ষেত্রে বিন্দু মণ্ডল এবং তাজেরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের দ্বারা আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বীরভূমের মহম্মদবাজার এলাকা থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। এত বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক মেলায় স্বাভাবিকভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের সন্ধানকার্যের সময় ৩১ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তী ক্ষেত্রে নলহাটির আরও একটি জায়গা থেকে ২৮ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট এবং বিপুল পরিমাণ ডিটোনেটর উদ্ধার করে পুলিশ। এ সকল ঘটনায় আশিস কেওড়া নামে এক লরি চালককে গ্রেফতারও করা হয়। তবে বর্তমানে একের পর এক বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসনের চিন্তা যে বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে, তা বলাবাহুল্য।