বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিরীহ পর্যটকদের গুলি করে খুন করেছে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় একদিকে যেমন শোকের আবহ, তেমনই রাগে ফুঁসছে গোটা দেশ। নানান মহল থেকে উঠছে ‘বদলা’র দাবি। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের হয়ে সাফাই গেয়ে গ্রেফতার হলেন তিনবারের বিধায়ক (MLA)। বৃহস্পতিবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Police)।
বাড়ি থেকে বিধায়ককে গ্রেফতার পুলিশের!- (Pahalgam Terror Attack)
গত মঙ্গলবার ‘ভূস্বর্গে’র পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা হয়। পর্যটকদের রক্তে ভিজে যায় বৈসরণ। এরপরেই অসমের এআইইউডিএফ বিধায়ক আমিনুল ইসলামের গলায় জঙ্গিদের হয়ে সাফাই শোনা যায়। পাকিস্তানকে কার্যত সমর্থন করেন তিনি। সেই ঘটনার ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সমাজমাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল আমিনুলের (Aminul Islam) ভিডিও। তার ভিত্তিতেই ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে পুলিশ। এরপর গতকাল নাগাঁও জেলায় আমিনুলের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে উর্দিধারীরা।
এদিকে আমিনুলের এই মন্তব্যের পরেই প্রতিবাদ করেছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। এই রকম মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গেই বলেন, এআইইউডিএফ বিধায়ককে আদালতে পেশ করা হবে ও আইন অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার পর বিতর্কিত মন্তব্য করায় আমিনুলের থেকে দূরত্ব তৈরি করেছিল এআইইউডিএফ-ও। দলের তরফ থেকে জানানো হয়, ওই বিধায়ক যা মন্তব্য করেছেন তা একান্ত ব্যক্তিগত। এর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই।
এআইইউডিএফ প্রেসিডেন্ট বদরুদ্দিন আজমল বলেন, ‘আমিনুল ইসলামের মন্তব্য ভীষণ দুঃখজনক। এখন দেশের পাশে দাঁড়ানোর সময়, সরকারের পাশে দাঁড়ানোর সময়। জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। ইসলামের নিয়ম ভাঙছেন এই জঙ্গিরা’।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে (পূর্বে টুইটার) লিখেছেন, ‘নিরীহ মানুষদের নৃশংস খুনকে জাস্টিফাই করতে, স্বাভাবিক করতে কিংবা লঘু করার চেষ্টা যারা করছেন, তাঁরা বাক স্বাধীনতা ব্যবহার করছেন না, দেশের বিরুদ্ধেই দাঁড়াচ্ছেন’।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) ঘটনায় একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা।