বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার বুকে কি করা হতে চলেছে কোন গভীর নাশকতার ছক? বীরভূম থেকে পরপর তিনদিন ধরে একাধিক বিস্ফোরক উদ্ধার করার পর এই প্রশ্নটি ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এমনকি এর পিছনে মাওবাদী থেকে শুরু করে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছে প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের ন্যায় এদিনও রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের পক্ষ থেকে বিশাল পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। গতকালের পর এদিন নলহাটি থেকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার করে পুলিশ। বীরভূমের আশেপাশে পাথর খাদান ও কয়লা খনিতে এ সকল বিস্ফোরক পাঠানো হচ্ছিলো কিনা, সে বিষয়ে নজর রেখে চলেছে STF।
গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকা থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়, যা নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে। এত পরিমাণ ডিটোনেটর কি কারনে এবং কারা মজুত করে রেখেছিল, তা নিয়ে শুরু হয়ে যায় তদন্ত। এরপরেই সেই তদন্ত পায় এক নতুন দিশা। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স তল্লাশি চালিয়ে গতকাল বীরভূমের নলহাটির লখনামারা গ্রাম থেকে প্রায় ৩১ টনের কাছাকাছি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে। ফলে এই বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করার পর গোটা এলাকায় নিরাপত্তা আরো বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ। আর এবার তাদের হাতে উঠে এলো নয়া তথ্য।
বিস্ফোরকের পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণেই এর পিছনে কোন বড় জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি গতকালও অভিযান চালু রাখে রাজ্য পুলিশ আর সেই সময়কালে নলহাটির একটি গুদাম থেকে প্রায় ২৮০০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ ডিটোনেটর উদ্ধার করা হয়।
এসটিএফ-এর মতে উদ্ধার করা বিস্ফোরক দিয়ে একটি বড় শহর পর্যন্ত উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বীরভূমের মহম্মদ বাজার এলাকা থেকে একটি লরি সহ তার চালককে আটক করে পুলিশ। সন্দেহের বশে সেই লরিটি চেক করতেই সেখান থেকে প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। তৎক্ষণাৎ সেই লরিচালক আশিস কেওড়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফলে পরপর তিনদিন বিশাল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধারের পর ইতিমধ্যে এলাকার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনার পেছনে বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠনের জড়িত থাকার পাশাপাশি মাওবাদীদের অন্তর্ভুক্তি সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে এই প্রসঙ্গে মানুষের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে আশ্বস্ত করেছে প্রশাসন।