বাংলা হান্ট ডেস্ক: জামালপুরের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এবার সরাসরি দ্বারস্থ হলেন মুখ্যমন্ত্রীর। সন্ত্রাস ও লুঠের অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানালেন তারা। মুখ্যমন্ত্রীকে তারা চিঠি দিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ পাল এবং বেরুগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আব্দুস সালাম সহ-অন্য সদস্যরা সেই চিঠির প্রতিলিপি পাঠিয়েছেন প্রশাসনের একাধিক কর্তাকেও। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের একবার সামনে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
যে দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের একজন হলেন বেরুগ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ফিরোজ শেখ। অন্যজন এই পঞ্চায়েতের সদস্য তথা বেরুগ্রাম অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি শাহাবুদ্দিন শেখ ওরফে দানি। এই দুই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা বালি মাফিয়াদের সাথে যোগসাজোস করে বালি লুঠ করছে দামোদর থেকে। এছাড়াও, আবাস যোজনায় কাট মানি নেওয়া, বেআইনিভাবে গাছ কাটা সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা মনে করছেন ভোটের আগে এই দুই নেতা দলের বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে।
জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূলের ব্লক কমিটির নেতা প্রদীপ পাল বলেন, “ফিরোজ ও দানির অত্যাচার, জুলুমবাজি আর তোলাবাজির জেরে বেরুগ্রাম অঞ্চলের মানুষ অতিষ্ট। এরজন্য গোটা তৃণমূল পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ বিষোদাগার করছেন। তৃণমূলের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাই আমরা দুই নেতার কুকীর্তির সবিস্তার লিখে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছি। আমরা চাই দলীয় ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে যাঁরা নিরীহ মানুষজনের উপর সন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে দল কড়া ব্যবস্থা নিক।”
মঙ্গলবার এই দুই নেতা অবশ্য সবকিছুকেই চক্রান্ত বলে দাবি করেছেন। দুই নেতার অনুগামীরা বলেছেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভোটাভুটিতে গিয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেই ইচ্ছাকৃতভাবে অভিযোগ আনা হচ্ছে।” মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করে পাঠানো পাঁচ পাতার চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন 12 জন।