বাংলা হান্ট ডেস্ক: এখনকার দিনে এক ধরনের সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে পরকীয়ার (Extra Marital Affair) সম্পর্ক। বিবাহিত পুরুষ এবং মহিলাদের মধ্যে বিয়ের পরেও একাধিক সম্পর্কে জড়ানোর প্রবণতা এখন দিকে দিকে। যার ফলে ভাঙছে বহু সংসার কিংবা খুনের মতো মর্মান্তিক পরিণতি। সম্প্রতি তেমনি এই পরকীয়ার সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই খুন হয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) মেমারির এক গৃহবধূ (House Wife)।
ইতিমধ্যেই এই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যক্তিকে। তারা ওই মহিলার পূর্ব পরিচিত বলেই দাবি করছে পুলিশ। সোমবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জানা যাচ্ছে, মৃত ওই গৃহবধুর নাম প্রতি প্রতিমা চক্রবর্তী। ঘর থেকেই তার নলি কাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করার পর ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আর এই পুলিশ তদন্তে উঠে এসেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের সূত্র। আর এই সূত্র ধরেই পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মশাগ্রামের বাসিন্দা শেখ ইব্রাহিম এবং দেবীপুরের বাসিন্দা তপন দাস নামে দুই ব্যক্তি। জানা যাচ্ছে প্রতিমা চক্রবর্তীর স্বামী পেশায় একজন পাচক। তাই কর্মসূত্রে তিনি থাকতেন বাড়ির বাইরে। জানা যাচ্ছে ইব্রাহিমের সাথে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই পরকীয়ার সম্পর্কে ছিলেন প্রতিমা।
এছাড়া কিছুদিন আগে তার প্রতিমার সাথে পরিচয় হয় তপন নামে আরও এক ব্যক্তির। তার সঙ্গেও তৈরি হয় পরকীয়ার সম্পর্ক। কিছুদিনের মধ্যেই তপন জানতে পারেন ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রতিমার সম্পর্কের কথা। তখনই দুজনের মধ্যে অশান্তি চরম ওঠে। এমনকি তপন নাকি একাধিকবার ইব্রাহিমের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেওয়ার কথাও বলেছেন।
আরও পড়ুন: সাতসকালে হাইকোর্টে ছুটলেন শুভশ্রী, মিঠুন, ঋত্বিক! কী নিয়ে ঝামেলা? তুমুল শোরগোল
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে ইব্রাহিমের সাথে প্রতিমা গত শনিবার বেড়াতে গিয়েছিলেন। সেই খবরও কানে আসে তপনের। এমনকি শনিবার প্রতিমার বাড়িতে গিয়েও তিনি ইব্রাহিমকে দেখতে পান। পুলিশের অনুমান তারা দুজনে মিলেই প্রতিমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। প্রতিমার পরিবারের দাবি শনিবার রাত আটটা নাগাদ মেমারি চকদিঘি এলাকায় নিজের বোনের দোকানে গিয়েছিলেন প্রতিমা।
সেখান থেকেই তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু তারপর প্রতিমার বোন বাড়ি গিয়ে দিদিকে ডাকাডাকি করেও আর সাড়া পাননি। পরে দরজা খুলে দেখা যায় প্রতিমার রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে মেঝেতে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং শুরু করেন তদন্ত। তদন্ত করে জানা যায় বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ধৃত দুজনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই এই খুন কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো তথ্য সামনে আসেনি।