বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভয়াবহ উত্তাপে পুড়ছে দেশ। তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি দেশের একাধিক রাজ্যে। এহেন গরমের কারণে গোটা দেশে ভয়ংকর রূপ নেওয়ার পথে বিদ্যুৎ সংকট। ইতিমধ্যেই কয়লার ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র সহ দশটি রাজ্যে। এরই মধ্যে চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মহারাষ্ট্রে বাধ্যতামূলক ভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়মিত কিছুক্ষণের জন্য করে বন্ধ করে দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
একটি প্রতিবেদনের দাবি, গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে মজুত কয়লার পরিমান গত ৯ বছরের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। করোনা লকডাউনের পর শিল্প-কারখানার কাজকর্ম স্বাভাবিক হওয়ার কারণে বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে কল কারখানাতেও।বহু বছর পর এহেন বিদ্যুৎ সংকটের মুখোমুখি দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পঘাঁটি মুম্বাই। এখানে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ইতিমধ্যেই ২৫০০ মেগাওয়াট কম।
এবছর মহারাষ্ট্র রাজ্যে ২৮০০০ মেগা ওয়াটের রেকর্ড চাহিদা রয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০০০ মেগাওয়াট বেশি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ঝাড়খণ্ড, বিহার, হরিয়ানা এবং উত্তরাখণ্ডেও চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সরবরাহ ৩% কম। উত্তরপ্রদেশেও ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের। সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা ২১-২২ হাজার মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র ১৯ থেকে ২০ হাজার মেগা ওয়াট। ফলে সেখানেও কার্যতই ভুগতে হচ্ছে মানুষকে।
এই ঘাটতি এবং চাহিদা আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে উত্তর ও মধ্য ভারতের বেশিরভাগ জায়গাতেই রেকর্ড ভাঙবে তাপমাত্রা। ইতিমধ্যেই একাধিক জায়গায় চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে বাধ্য। ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক স্থানে শুরু হয়ে গিয়েছে নিয়মিত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রেহাই পেতে কী সিদ্ধান্ত নেয় সরকার, তাই এখন দেখার