বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এই মাসেই বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে উপস্থিত থাকবেন তিনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের আগেই ওপার বাংলার মৌলবাদীরা বিক্ষোভ শুরু করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন গুলো রীতিমত হুমকি দিয়ে বলেছে যে, বাংলাদেশে কোনোভাবেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় বিরাট বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বাংলাদেশে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা করে ইসলামিক সংগঠনগুলো। গতকাল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল ঢাকা পুলিশের তরফ থেকে।
আগামী ২৬ মার্চ দু’দিনের বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ওপার বাংলায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশ সরকারের ঘুম কেড়েছে দেশের ইসলামিক মৌলবাদীদের বিক্ষোভ। সরকারের আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে পারে মৌলবাদীরা।
দিন কয়েক আগেই বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁওয়ে ইসলামিক মৌলবাদীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছিল সংখ্যালঘু হিন্দুরা। প্রায় ১০০টি বাড়ি ও ১০ টি মন্দিরে তাণ্ডব চালিয়েছিল মৌলবাদীরা। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এই ঘটনার নেপথ্যে ছিল। রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক হাজার ইসলামিক মৌলবাদীরা নোয়াগাঁওয়ে হিন্দু গ্রামে অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছিল। হিন্দুরা প্রাণনাশের আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে গ্রাম ছেড়ে পলায়ন করেছিল। হিন্দুদের বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট সমেত হিন্দু মন্দিরেও তাণ্ডব করেছিল মৌলবাদীরা।
বলে রাখি, ভারত আর বাংলাদেশ দু’পক্ষই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও মজবুত করার জন্য উচিৎ পদক্ষেপ নিচ্ছে। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ত্রিপুরায় ফেণী নদীর উপর গড়ে ওঠা একটি মৈত্রী ব্রিজের উদ্বোধন করেছিলেন। এই ব্রিজ ত্রিপুরাকে সড়ক পথে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করবে।
এছাড়াও করোনার মহামারীতেও বরাবর বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়ে এসেছে ভারত। এমনকি করোনার ভ্যাকসিন পাঠিয়েও বাংলাদেশকে সহায়তা করেছে ভারত।