বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের (India) বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো ফেসবুকের (Facebook) বিরুদ্ধে হেট স্পিচকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেছে। আর এর মধ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক বিজেপির বিধায়ক টি রাজা সিংকে (T. Raja Singh) হিংসা আর ঘৃণা ছড়ানো নিয়ে বানানো নিয়মের লঙ্ঘন করায় ব্যান করে দিয়েছে। শুধু ফেসবুকই না, রাজা সিংয়ের ইনস্টগ্রাম অ্যাকাউন্টও ব্যান করেছে ফেসবুক।
উল্লেখ্য, এসবের শুরু ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এর একটি রিপোর্টের পর থেকে হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল যে, ফেসবুক বিজেপির নীতিকে সমর্থন করে আর তাঁদের দলের বিধায়ক টি রাজা সিংকে উসকানিমূলক ভাষণ দেওয়ার পরেও নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যান করছে না। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কংগ্রেস আর দেশের সমস্ত বিরোধী দল গুলো বিজেপির উপ হামলা করেছে।
ফেসবুকের মুখপাতে একটি ইমেলের মাধ্যমে দেওয়া বয়ানে বলেছেন যে, আমরা রাজা সিংকে আমাদের নিয়মের লঙ্ঘন করার জন্য ব্যান করেছি। আমাদের নীতি ফেসবুকের মাধ্যমে হিংসাকে প্রশ্রয় দেওয়া হিংসা করা অথবা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ঘৃণা ছড়ানো থেকে রুখে দেয়। বয়ানে বলা হয়েছে যে, সম্ভাবিত লঙ্ঘনকর্তাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া ব্যাপক, আর এই প্রক্রিয়ায় কাজ করে আমরা ফেসবুক থেকে টি রাজা সিংয়ের অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিয়েছি।
উল্লেখ্য, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, ফেসবুকের নীতি ভারত সরকারকে সমর্থন করে! এরপরই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দল গুলো ফেসবুক আর সরকারের মধ্যে যোগসাজিস নিয়ে আক্রমণ করে। জানিয়ে দিই, ভারত ফেসবুকের সর্ববৃহৎ বাজারের মধ্যে একটি। গোটা ভারতে মোট ফেসবুকের ৩০ কোটি ব্যবহারকারী আছে।
আরেকদিকে, দুদিন আগে বিজেপির বিধায়ক রাজা সিং ফেসবুক লাইভে এসে বলেছিলেন যে তিনি ফেসবুকে কোনভাবেই হিংসার উসকানি দেওয়ার কাজ করেন না। আর এটার প্রমাণ যদি সামনে আসে তাহলে ফেসবুক ওনাকে নিঃসন্দেহে ব্যান করতে পারে। উনি এও বলেছিলেন যে, আমি শুধু আমার নামের আইডি চালাই। আর গোটা ফেসবুকে আমার নামে যেসব পেজ আর আইডি চলছে সেগুলোতে আমার কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তাঁরা কোন দোষ করলে আমাকে কেন ভাগিদার করা হবে? ওনার এই বয়ানের দুদিন পরই ওনার আইডি ব্যান করে দেয় ফেসবুক।