গাছের ছাল ছুললেই বের হচ্ছে টাকা! ভাইরাল ভিডিও দেখে হইচই নেটপাড়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভালোভাবে এবং নিশ্চিন্তে জীবনযাপনের জন্য টাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। পাশাপাশি, টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রেও করতে হয় বহু পরিশ্রম। এছাড়াও, দরিদ্র মানুষদের ক্ষেত্রে টাকার অভাবেই অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে তাঁদের জীবন।

এমতাবস্থায়, সকলেই চান যদি কোথাও অফুরন্ত টাকার সম্ভার থাকত তাহলে খুব সহজেই সমস্ত প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হত। এছাড়াও, প্রায় সময়ই আমরা কথায় কথায় বলে ফেলি যদি একটা টাকার গাছ থাকত তাহলে কি ভালোই না হত! কিন্তু, এবার নেটমাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে যা রীতিমতো উস্কে দিয়েছে সেই জল্পনা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া এমনই একটি মাধ্যম যেখানে লক্ষ লক্ষ ভাইরাল ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। প্রায় প্রতিদিনই সেখান কয়েক হাজার ভিডিও নতুন করে ভাইরাল হয়ে যায়। আর যেগুলি দেখতে পছন্দ করেন নেটিজেনরা। তবে, সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় সকলের।

ঠিক সেইরকমই একটি ভিডিও বর্তমানে তোলপাড় করে দিচ্ছে নেটমাধ্যম। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একটি গাছ থেকে ক্রমাগত পাওয়া যাচ্ছে টাকার নোট। একজন একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে গাছের ছাল বরাবর তা চালিয়ে দিতেই সেখান থেকে পড়ে যাচ্ছে একগুচ্ছ টাকা। আর এই ভিডিও দেখেই চমকে গিয়েছেন সকলেই।

পাশাপাশি, টাকার গাছের এই ভিডিও দেখে তীব্র হইচই পড়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। প্রাথমিকভাবে সেগুলি চিনের টাকা বলে বোঝা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ভিডিওটি প্রায় ৪০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখেছেন ফেসবুকে। এছাড়াও, প্রায় ২৩ হাজার জনেরও বেশি লাইক করেছেন এটি।

তবে, ভিডিওটি এডিটের মাধ্যমেই উপস্থাপিত করা হয়েছে। অদ্ভুত এই ভিডিও দেখে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তাঁদের মধ্যে অনেকে লিখেছেন, “ঠিক এইরকম একটি গাছ আমি আমার বাড়িতে বসাতে চাই।” আবার একজন জানিয়েছেন, “ভিডিওটি সত্যিকারের হলে আমি এখনই পৌঁছে যেতাম!” প্রায় প্রতি মুহূর্তেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নেটিজেনদের কমেন্টের সংখ্যা।

তবে ভিডিওটি একটু ভালো করে দেখলে বোঝা যাবে যে, ব্যক্তি নিজে কারুকাজ করে ভিডিওটি এডিট করেছেন। আসলে গাছের ছাল ছুললে টাকা বের হচ্ছে না, ব্যক্তিটি নিজেই একটি আসল টাকা রেখেছেন আর ভিডিওটি এমন ভাবে এডিট করেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারকারীরা যাতে অবাক হন। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ফেক বা এডিটিং ভিডিও, যার সঙ্গে বাস্তবের সঙ্গে কোনও মিল নেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর