বাবলু প্রামাণিক ,বারুইপুরঃ সর্ষের মধ্যেই ভূত। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালেরই রোগী সহায়তা কেন্দ্রের অস্থায়ী কর্মীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠলো কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে হাসপাতালে গ্রুপ ডি কর্মী,সিভিক পুলিসে চাকরি করে দেবার প্রতারণা।এক গৃহবধুর কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নিয়ে সিভিক পুলিস ও গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে চাকরি করে দেবার কথা জানিয়েছিল অভিযুক্ত যুবক।
গৃহবধু এই ব্যাপারে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।পরে সুপার ডঃ অচিন্ত্য গায়েন এই অভিযোগের ভিত্তিতেই আবার বারুইপুর থানায় রাতে অভিযোগ দায়ের করেন। বারুইপুর থানার পুলিস অভিযুক্ত যুবক কে গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তের নাম জাহাঙ্গির মণ্ডল। অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার দুপুরে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্তের কাছ থেকে ডায়মন্ডহারবার, ঢোলা,কাকদ্বীপের বহু যুবকের বায়ডাটা বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। তার বাড়ি বারুইপুর থানার ধপধপির শেরপুর এলাকায়। হাসপাতাল সুত্রে খবর, ২০১৮ এর জুলাই মাস থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে রোগী সহায়তা কেন্দ্রে কাজ করছিল জাহাঙ্গির মণ্ডল। এক এন জিওর মাধ্যমে তাকে কাজে নেওয়া হয়।সোনারপুরের বামনগাছির বাসিন্দা গৃহবধু শান্তি নস্করের মেয়ে আর জামাইকে বারুইপুর হাসপাতালে সিভিক পুলিস ও গ্রুপ ডি কর্মী হিসাবে কাজ দেবে বলে তাঁদের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা নিয়েছিল।
এর পরেও কোন কাজ না হওয়ায় হাসপাতালের অন্য আধিকারিকদের কাছে ওই গৃহবধু বিষয়টি জানায়। বিষয়টি সুপার ডঃ অচিন্ত্য গায়েন কে জানানো হয়। এর পরেই সুপার বারুইপুর থানায় রাতেই অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গির মণ্ডল বলে যুবককে গ্রেপ্তার করে বারুইপুর থানার পুলিস। ওই অভিযুক্ত যুবকের দাবি তাকে ফাঁসানো হয়েছে। স্ত্রানিয় বাসিন্দাদের অভিযোগ এর পিছনে বড় চক্র কাজ করছে। কোন মুল মাথা আছে এর পিছনে। হাসপাতালের অনেক কর্মীর যোগ সাজস থাকতে পারে।
পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে জাহাঙ্গিরের নামে কারুর কাছ থেকে ১০ হাজার,৫ হাজার টাকার নেবার অভিযোগ আছে।টাকা নিয়ে তাদের বলা হত সিভিক পুলিসে চাকরি দেবে, হাসপাতালের গ্রুপ ডি এর বিভিন্ন পদে চাকরি দেবে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।