বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৫ মাস আগে। কিন্তু তা গোপন করেই জমা দিলেন রূপশ্রী (rupashree) প্রকল্পের নথি। নির্ধারিত বিয়ের দিন বাড়িতে আধিকারিকদের আসতে দেখেই তড়িঘড়ি মেয়েকে কনের সাজে সাজাতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না, সবটাই ধরা পড়ে যায়।
ঠিক এমনই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে (Kharagpur)। এই গল্পটা কোন সিনেমার দৃশ্যপটকেও হার মানাবে। অবশেষে সব জানাজানি হতেই, নিজেদের ভুল হয়েছে বলে আধিকারিকদের সামনে নিজেদের ভুল স্বীকার করে পরিবারের সদস্যরা।
বিষয়টা হল, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রূপশ্রী প্রকল্পের আয়ত্তায় মেয়েদের বিয়ের আগে ২৫ হাজার টাকা সরকারি সাহায্য করা হয়। মেয়ের বিয়ের আগেই এর জন্য অ্যাপ্লাই করতে হয়। কিন্তু বেলদা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের নবোদয় পল্লির সুলেখা দাস অধিকারী মঙ্গলবার রাতেই নিজের বিয়ের তারিখ বলে মঙ্গলবার নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে গিয়ে বিয়ের কার্ড-সহ নথি ও আবেদনপত্র জমা দিয়ে আসেন।
এরপর যথারীতি রাতে আধিকারিকরা তাঁর বাড়িতে ভেরিফিকেশনের জন্য উপস্থিত হন। সেখানে গিয়ে নারায়ণগড় ব্লকের বিডিও কৃশানু রায় ও জয়েন্ট বিডিও দিলবার হোসেন দেখেন বাড়িতে বিয়ের কোন আয়োজনই নেই। সবকিছুই চুপচাপ। ওদিকে আধিকারিকদের বাড়িতে আসতে দেখে তড়িঘড়ি মেয়েকে সাজাতে বসেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু শেষরক্ষা হয় না।
জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমেই আধিকারিকরা জানিতে পারেন, ৫ মাস আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে ওই মেয়েটির। আর তারপর তাঁর পরিবার রূপশ্রীর জন্য আবেদন করে। পরবর্তীতে নিজেদের ভুল স্বীকারও করে নেয় মেয়ের পরিবার। এই ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে।
এবিষয়ে নারায়ণগড়ের বিডিও কৃশানু রায় বলেন, ‘রূপশ্রীর জন্য আসা আবেদনগুলো আমরা খতিয়ে দেখে নিই। একটা ভুয়ো আবেদনের খবর পেয়ে আমরা সেখানে তদন্ত করতে যাই। গিয়ে দেখি কার্ডে উল্লেখ করা তারিখে কোন বিয়েই হচ্ছে না, আগেই হয়ে গিয়েছে সেই বিয়ের অনুষ্ঠান’।