গেস্ট হাউসে চলছিল ভুয়ো থানা, প্রতিদিন ৫০০ টাকায় কাজ করত নকল পুলিশ! ফাঁস হল কর্মকাণ্ড

বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতারণা চক্র যেন দিন দিন দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে। বাংলায় একের পর এক জালিয়াতির খবরে তখন দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে, ঠিক তখনই খবরের শিরোনামে উঠে এল বিহারের নাম।বিহারের বাঙ্কায় বুধবার সকালে পুলিশ “অনুরাগ গেস্ট হাউসে” অভিযান চালিয়ে একটি ভুয়ো থানার হদিশ পান। অভিযানে ভুয়ো পুলিশের ইউনিফর্ম পরা এক যুবক ও এক তরুণীকেও আটক করেছে পুলিশ।

ভুয়ো পুলিশ অফিসার এক মহিলা অনিতা দেবীর কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, এই পিস্তল তাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ শেখার জন্য দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছেন যে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের নির্দেশে তাকে পুনর্বহাল করা হয়েছিল। ফুলিদুমারের লোধিয়া গ্রামের বাসিন্দা রমেশ কুমার, ভুয়ো থানায় করণিক হিসাবে কাজ করেন এবং তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাগলপুর জেলার খানপুরের বাসিন্দা আকাশ কুমারকে পুলিশের ইউনিফর্ম ও অন্যান্য নথিপত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানিয়েছে যে তারা তাদের সিনিয়র অফিসার ভোলা যাদবের নির্দেশে কাজ করছিল। অভিযুক্ত ভোলা যাদব ফুলিদুমার এলাকার বাসিন্দা। অভিযুক্তরা জানান, তাদের কাজের বিনিময়ে তারা দৈনিক মজুরি হিসেবে ৫০০ টাকা পেতেন। পুলিশ গেস্ট হাউস থেকে তাদের ব্যক্তিগত বাবুর্চিকেও আটক করেছে এবং বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এসডিপিও ডিসি শ্রীবাস্তব জানান, ভুয়ো পুলিশ গ্যাং পরিচালনাকারী মূল গ্যাংস্টার এখনও পলাতক। শীঘ্রই তাকেও গ্রেফতার করা হবে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর