বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) রমরমা গোটা রাজ্যে। কোথাও টাকা দিয়ে চাকরি, কোথাও পরীক্ষা না দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) পরীক্ষা ছাড়াই বেশ কিছু শিক্ষক চাকরি করছিল রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে। ইতিমধ্যে এমন অন্তত সাত জনকে চিহ্নিত করেছে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে যাদের চাকরিও কেড়ে নিয়েছে এসএসসি। আর এবার বেতন ফেরানোর পালা।
ভুয়ো শিক্ষকদের বেতন ফেরানো নিয়ে কড়া কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
এর আগে এই ভুয়ো শিক্ষকদের মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশ ছিল, যতদিন ওই শিক্ষকরা চাকরি করেছে সেই চাকরির টাকা ১২% শতাংশ সুদ-সহ ফেরাতে হবে। সেই নিয়েই এবার আরও কড়া হাইকোর্ট। ভুয়ো শিক্ষকদের বেতন ফেরাতে অবিলম্বে তিন সদস্যের কমিটিকে উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি বসুর।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এ রহমান হাই স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই মামলার সূত্রে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ধরা পড়া ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি বেতন ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই গোথা এ রহমান স্কুলের মামলায় এসএসসি পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানকেও গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে রয়েছেন। কিন্তু শুধুমাত্র গ্রেফতারিতেই শেষ কেন? কেন এখনও ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোনও বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়নি সেই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জাস্টিস বসু।
বিচারপতির প্রশ্ন, জেল থেকে ছাড়া পেলে ওই ব্যক্তিকে কি আবার আপনারা এসএসসির চেয়ারম্যান করতে চাইছেন? আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ থাকার পরও কেন তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দেরি হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাব তলব করেছেন বিচারপতি। কেন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হয়নি আগামী ১২ অগস্ট হাই কোর্টে মামলার পরবর্তী শুনানির দিন তা এসএসসি কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোটের আগেই বেড়েছে টাকা! ফের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে নয়া আপডেট, বড় ঘোষণা মমতার
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের ওই স্কুলটিতে প্রধান শিক্ষকের ছেলের চাকরি পাওয়া নিয়ে হাই কোর্টে দায়ের হয় মামলা। পরে জানা যায়, অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন প্রধান শিক্ষকের পুত্র। নিয়োগপত্র এবং সুপারিশপত্র জাল করে চাকরি পেয়েছিলেন তিনি। এরপরই কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্যের আরও পাঁচ ভুয়ো শিক্ষকের নাম উঠে আসে। সকলের বিরুদ্ধেই নথি জাল করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। এরপরই ওই ভুয়ো শিক্ষকদের বেতন ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।