ঠিক যেন প্রাসাদ! মাটির নিচে ১১ কামরার দোতলা বাড়ি বানালেন ফকির, কীর্তি দেখে ‘থ” সবাই

বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে এমন অনেক সাধারণ মানুষ থাকেন যাঁরা তাঁদের নজিরবিহীন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উঠে আসেন খবরের শিরোনামে। শুধু তাই নয়, তাঁদের কাজগুলি অবাক করে দেয় প্রত্যেককেই। বর্তমান প্ৰতিবেদনে আমরা ঠিক সেইরকমই এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব। যিনি মাটির ভেতরে বাড়ি তৈরি করে চারিদিকে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। মূলত, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হারদোই (Hardoi) জেলায় ফকির পাপ্পু মাটির ভিতরে একটি দোতলা বাড়ি তৈরি করেছেন।

সবথেকে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ফকির নিজে হাতে মাটি খুঁড়ে প্রায় ১২ বছর ধরে এই বাড়ি তৈরি করেছেন। তবে, তাঁর আসল নাম হল ইরফান আহমেদ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর ওই বাড়িতে মোট ১০ থেকে ১১ টি ঘর এবং সিঁড়ি রয়েছে। পাশাপাশি, রয়েছে একটি ছোট ব্যালকনিও।

 Fakir built a two-storied house under the ground

ইরফান জানান, ২০১১ সালে তিনি এই বাড়ি তৈরির কাজ শুরু করেন। এমনকি, এখনও সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। জীবনের একটা বড় অংশ এই বাড়িতেই কাটিয়েছেন ইরফান। শুধুমাত্র খাবার খেতে তিনি তাঁর নিজের বাড়ি যান।

আরও পড়ুন: এবার ভয়ে পালাবে ডেঙ্গু, ১ বছরের মধ্যেই মোক্ষম অস্ত্র পাচ্ছে ভারত! হয়ে গেল বড় ঘোষণা

বাবার মৃত্যুর পর জীবনে ছিল হতাশা: প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ২০১০ সালে বাবার মৃত্যুর পর ইরফানের জীবনে বড় পরিবর্তন আসে। তিনি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করলেও নির্বাচনে পরাজিত হন। যখন বারংবার ব্যর্থতা তাঁর জীবনে হতাশা আনতে শুরু করে, তখন তিনি তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। যদিও, তারপরে তিনি চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করার জন্য একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। আর তাঁর লক্ষ্য ছিল এমন একটি ঘর তৈরি করা, যা প্রত্যেকের থেকে আলাদা।

আরও পড়ুন: ফের বড়সড় সমস্যার সম্মুখীন! হিন্ডেনবার্গের পর এবার এই রিপোর্টের জন্য ঘুম উড়েছে আদানি গ্রুপের

অনুর্বর জমিকে বেছে নিয়ে গড়ে তুলেছেন স্বপ্নের প্রাসাদ: ইরফান তাঁর লক্ষ্যপূরণের জন্য অনুর্বর জমি বেছে নিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অনুর্বর জমিকে উর্বর করে তুলতে তিনি জমিটি খুঁড়ে ভেতরের মাটি বের করে আনেন। আর সেই মাটি ছিল উর্বর। যেটা দিয়ে তিনি চাষ শুরু করেন। পাশাপাশি, ওই খননের ফলে তিনি মাটির ভেতরেই তাঁর প্রাসাদও তৈরি করেন। যেটি বর্তমানে দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ দেখতে আসছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর