বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের চারপাশে প্রতিদিন এমন কিছু ঘটনা ঘটে যা রীতিমতো “অলৌকিক” মনে হয় সবার কাছে। এমনকি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঘটনাগুলিকে বিশ্লেষণ করার মত শব্দও খুঁজে পাওয়া যায় না। ঠিক সেই রেশ বজায় রেখেই এবার এক অবাক করা ঘটনা সামনে এল। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বদায়ুন জেলায় ২০ ফুট গভীর একটি কুয়োতে পড়েও আশ্চর্যজনক ভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছে এক সদ্যোজাত।
শুধু তাই নয়, কুয়োর মধ্যেই ওই অবস্থাতে একরত্তিটিকে সারারাত ফণা তুলে পাহারা দিয়েছে এক বিষধর সাপ। এমনটাই দাবি করেছেন শিশুটিকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করা এক প্রৌঢ়। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই ওই আশ্চর্য শিশুকে দেখার জন্য ঢল নেমেছে মানুষের। তাঁদের বিশ্বাস দৈব আশীর্বাদ ছাড়া এমন ঘটনা ঘটা কার্যত অসম্ভব।
এদিকে, প্রথমে ওই বিষ্ময় শিশুকে চিকিৎসার জন্য ভরতি করা হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এমতাবস্থায়, ওই গভীর পাতকুয়োতে শিশুটি কিভাবে পড়ে গেল তা সঠিকভাবে জানা না গেলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কয়েক ঘন্টা আগে জন্ম নেওয়া ওই শিশুটির দেহে বেশ কয়েকটি কাটাছেঁড়ার দাগ রয়েছে। এমনকি, বেশ উঁচু থেকে নিচে পড়ার কারণে তার কপালের কিছুটা অংশ ফুলেও গিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, গ্রামবাসীদের অনুমান কেউ বা কারা শিশুটিকে ওই কুয়োতে ফেলে গিয়েছিল।
কিভাবে হল উদ্ধার: জানা গিয়েছে, ভোরে মাঠে কাজ করতে গিয়ে নিকটবর্তী একটি কুয়ো থেকে ওই শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান প্রেম রাজ নামের বছর পঞ্চাশের এক ব্যক্তি এবং তাঁর স্ত্রী সোমওয়াতি দেবী। এরপর ২০ ফুট গভীর ওই কুয়োতে নেমে প্রেম দেখেন কুয়োর ভিতরে পড়ে রয়েছে একটি শিশু। এমনকি, তার পাশে ফণা তুলে রয়েছে একটি সাপ।
যদিও তাঁকে দেখেই সাপটি সেখান থেকে চলে যায় বলেও জানান প্রেম। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় অবাক হয়ে যান তিনি। এদিকে কুয়ো থেকে এইভাবে শিশু উদ্ধারের ঘটনা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে লোকমুখে। পাশাপাশি, পুরো বিষয়টি জেনে ওই বিষ্ময় শিশুটিকে দেখতে ভিড়ও জমে যায়। এত উঁচু থেকে পড়ে বিষধর সাপের পাহারায় থেকে যেভাবে ওই শিশু প্রাণে বেঁচেছে তা রীতিমতো স্তম্ভিত করেছে সকলকে।