বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন শীতলকুচিতে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রাণ হারানো আনন্দ বর্মণের পরিবার। প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণের দাদা বলেন, ‘আমরা বিজেপি করি, আর বিজেপি করার অপরাধেই আমার ভাইয়ের প্রাণ গেছে। মুখ্যমন্ত্রী এখন আমাদের কী দিতে আসছেন?”
১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের শীতলকুচি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান ৪ জন। ওই ঘটনায় দায়ি কে? সেই নিয়ে যখন বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে তরজা চলছে, তখন বাড়ির ছেলেকে হারিয়েও প্রচারের বাইরে আনন্দ বর্মণের পরিবার। শীতলকুচিতে সর্বপ্রথম প্রাণ যায় প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণের। মৃতের পরিবারের তরফ থেকে এই ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
বুধবার মাথাভাঙায় জাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে সুত্রের খবর। ওনার দেখা করার তালিকায় নাম ছিল আনন্দ বর্মণের পরিবারেরও। কিন্তু আনন্দের পরিবার জানিয়ে দিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর থেকে তাঁদের কিছুই পাওয়ার নেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন না।
কোচবিহার জেলার বিজেপি পার্টি অফিসে বসে নিহত আনন্দ বর্মণের বাবা জগদীশ বর্মণ বলেন, ‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব না। আমাদের দুই থেকে তিন জন ফোন করেছিল ওনার সঙ্গে দেখা করার জন্য। আমি তাঁদের সরাসরি না করে দিয়েছি। ওঁরা আমাকে টাকার কথাও বলেছিল, আমি জানিয়ে দিয়েছি টাকা নেব না আমরা। দিদির থেকে কিছুই নেব না। তৃণমূল সরকারের থেকেও কিছু নেব না।”
আনন্দ বর্মণের বাবা বলেন, ‘ওঁরা আমার বড় ছেলেকে অনেকবার হুমকি দিয়েছে। আমাদের বাড়িতে এসেও হুমকি দিয়েছে। বলেছিল আমরা ভোট দিতে গেলে আমাদের জীবন কেড়ে নেওয়া হবে। ওঁরা আমার বড় ছেলেকে হাতের সামনে না পেয়ে আমার ছোট ছেলেকেই মেরে ফেলেছে।”
আনন্দ বর্মণের দাদা গোবিন্দ বর্মণ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কেন দেখা করব? ওনার অথবা ওনার দলের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা বিজেপি কর্মী। বিজেপি করার কারণেই আমার ভাইয়ের প্রাণ গেল। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এখন কি দিতে আসছেন?”