বাংলা হান্ট ডেস্ক: বরুণ বিশ্বাসের (Barun Biswas) নাম জানে না এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেই বরুণ বিশ্বাসের খুনের প্রসঙ্গ আবারও উঠে এল যখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন। বারাসাতের (Barasat) প্রতিবাদী শিক্ষক-যুবক বরুণ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগের অভিযোগে সরব হল তাঁর পরিবার।
উল্লেখ্য, ১১ বছর আগে খুন হন বরুণ বিশ্বাস। আর সেই খুনের পিছনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রয়েছেন বলে ফের সরব হল তাঁর পরিবার। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কল রেকর্ডই খুনের সঙ্গে তাঁর যোগের প্রমাণ, দাবি এপিডিআর (APDR) কর্মী নন্দদুলাল দাসের। বরুণ বিশ্বাসের দিদিও বললেন, এবার শাস্তি পাক প্রকৃত দোষীরা।
২০১২ সালের ৫ জুলাই, কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউশনের (Mitra Institution) শিক্ষক তথা সুটিয়া ধর্ষণকারীদের (Rapist) আন্দোলনের প্রধান মুখ বরুণ বিশ্বাসকে গোবরডাঙা স্টেশনের বাইরে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। যে ঘটনা গোটা বাংলাকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। সেই খুনের নেপথ্যে তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল পরিবার। ১১ বছর পর সেই জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারের পরই গাইঘাটার বিশ্বাস পরিবার ফের তাঁর দিকে খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আঙুল তুলল।
প্রসঙ্গত, চালুন্দিয়া খাল এবং ইছামতি নদী সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ৩৮ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ এবং তাঁর প্রতিবাদ করাতেই বরুণ বিশ্বাসকে খুন হতে হয়। এই খুনের পিছনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত রয়েছে বলে এমনটাই দাবি করেছিলেন বরুণ বিশ্বাসের দিদি প্রমিলা রায় বিশ্বাস। বরুণ খুন হওয়ার পর তাঁর দিদিকে হুমকি এবং শাসনের দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এই নিয়ে নন্দদুলাল দাস বলেন, ‘যেদিন বরুণ খুন হয়, সেদিন জ্যোতিপ্রিয়র কণ্ঠস্বরের কল রেকর্ড (Call Recording of Jyotipriya Mallick) আছে। চালন্দিয়া খাল ভরাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছিলাম আমরা। বরুণ ছিল তার মুখ। সেই কারণেই তাঁকে খুন হতে হয়েছিল। খুনের পর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ফোন করা হয়েছিল। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় এরপর কী করা হবে, কল রেকর্ড পরীক্ষা করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
তৃণমূলের গৃহযুদ্ধ! কল্যাণের ‘মাথায় কার হাত!’ মন্তব্যের পাল্টা দিলেন তৃণাঙ্কুর