মাসিকে ভালোবেসে বিয়ে বোনপোর, বর-কনে কে মানতে নারাজ পরিবার! থানায় ছুটল নব দম্পতি

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মাসির সঙ্গে প্রেম। তাঁকেই বিয়ে। এও আবার সম্ভব নাকি? তবে এমনটাই করে দেখিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের যুবক অশোক রানা। নিজের মাসির সঙ্গে এক বছর চুটিয়ে প্রেমের পর আপাতত তাঁকেই বিয়ে করে প্রাণ বাঁচতে পুলিশের দ্বারস্থ যুবক। ঘটনার জেরে কার্যতই ভয়াবহ শোরগোল এলাকায়।

জানা যাচ্ছে ঝাড়খন্ডের ছাত্রা গ্রামের বাসিন্দা সোনু রানা বর্তমানে হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বছর খানেক আগে নিজের মায়ের বোনের প্রেমেই পড়েন তিনি। সম্মতি ছিল অন্য পক্ষেরও। ফলে এই প্রেমের ফুল ফুটতে সময় লাগেনি বেশিদিন। বিগত একবছর চুটিয়ে প্রেম করার পর এই সম্পর্ককে পরিনতি দিতে চেয়ে একটি শিব মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সারেন দুজন।

বিয়ের পর বাড়ি ঢুকতেই কার্যত রে রে করে তেড়ে আসেন গ্রামের লোকজন। তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন পরিবারের সদস্যরাও। নিজের বোনকে বৌমা হিসেবে এবং নাতিকে জামাই হিসেবে মানতে নারাজ পরিবার। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে নিরাপত্তা চেয়ে সদর পুলিশ স্টেশনের দ্বারস্থ হন ওই দম্পতি। তাঁদের দাবি ‘ সম্মান বাঁচাতে’ তাঁদের খুন করতে পারে পরিবার। এর মধ্যেই দুজনকে আলাদা করতে হাজার চেষ্টা করলেও পরিবারের সব চেষ্টার বিরুদ্ধে সোনুর দাবি, তিনি এবং তাঁর স্ত্রী দুজনেই প্রাপ্ত বয়স্ক। তাই বিয়ের এবং একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন তাঁরা।

কিন্তু এই বিয়েকে মানা কার্যতই তাঁদের পক্ষে অসম্ভব বলে জানিয়েছে দুজনের পরিবার। তাঁদের দাবি হিন্দু রীতি অনুযায়ী পরিবারের মধ্যে নিকট আত্মীয়কে বিয়ে করা অবৈধ। শুধু তাই ই নয়, এহেন বিয়েতে সম্পর্কগুলিতেও জটিলতা সৃষ্টি হবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। বোনকে বৌমা বলে মেনে নিতে কিছুতেই রাজি নন সোনুর মা বাবা। অন্যদিকে নাতিকে জামাই হিসেবে মেনে নেবেন না একথাও সাফ জানিয়েছেন দাদু।

দুজনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ব্যাপারটিতে শেষমেশ হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। দুপক্ষের পরিবারকে বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানো হয় তাঁদের। ওই দম্পতির প্রাণ হানির যাতে কোনও সম্ভাবনা না থাকে তাও নিশ্চিত করা হয়। কিন্তু ছেলেকে বাড়িতে ঢুকতে দিলেও বধূবরণের সানাইয়ের বদলে তুমুল অশান্তিতে কাক চিল বসা দায় সেখানে। এই বিয়ে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না এবং মাসি এবং বোনপো দুজনে দুজনকে কিছুতেই বিয়ে করতে পারে না এমনটাই সাফ জানানো হয়েছে পরিবার সূত্রে। যদিও এত কিছুর পর ও হাল ছাড়তে রাজি নন দম্পতি। ভালোবাসার মান রাখতে জীবন বাজি ধরতেও রাজি তাঁরা। তবে কী হতে চলেছে এই দম্পতির ভবিষ্যৎ তা নিয়ে অবশ্য অনিশ্চয়তা থেকেই যাচ্ছে।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর