বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভালোবাসার পরিনতি কি এতোই কঠোর!! চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই ঘটনা। রানাঘাট কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী মৌমিতা পাল, শুভজিৎ শর্মা নামক এক ছেলের সাথে প্রণয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বাবা মায়ের অজান্তেই কিছু বন্ধু বান্ধবীর সহয়তায় নিজেদের বিয়ের রেজিস্ট্রিটাও করিয়ে রাখে।
এর পর সময় বয়ে চলে নিজস্ব ছন্দে। গত কিছু দিন আগে মেয়ের দিদি-জামাইবাবু, মেয়েকে বিবাহ দেবার জন্য ছেলের খোঁজ আনে এবং রীতিমতো বিবাহের পাকা কথা বলার ব্যবস্থা করে। ঠিক তখনই সারা দেশে লকডাউন চালু করে সরকার। সুযোগ পাই মেয়ে কারণ পাকা কথা বলার দিনক্ষণ পিছিয়ে যায়।
এমতাবস্থায় একই পাড়াতে বাড়ি শুভজিৎ শর্মার সাথে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে মেয়ে। খোঁজাখুঁজির পর যখন বাড়ির লোক জানতে পারে যে, মেয়ে শুভজিৎ-এর সাথে পালিয়ে বিয়ে করেছে, তখন তাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা হয়।
এভাবেই কি ১৮/১৯ বছরের বাবা মায়ের ভালোবাসা প্রেমিকের ভালোবাসার কাছে হার মেনে যায়!! সেই কষ্ট মেনে নিতে পারে না বাবা মা। মেয়ের ব্যবহৃত সমস্ত জিনিস পত্র পুড়িয়ে দেয় তারা। বাড়ির সামনে দেওয়ালে মেয়ের ছবি টাঙিয়ে মেয়েকে মৃত বলে ঘোষণা করে পরিবার। তথ্য ফেসবুক ব্যাবহারারী বাপ্পা বিশ্বাসের থেকে সংগৃহীত।