নবদ্বীপ থেকে নিমদিহি! বাংলার এইসব জায়গায় দোলের মাহাত্ম্যই আলাদা, গেলেই অপূর্ব লাগবে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাঙালি বিভিন্ন উৎসবের মধ্যে প্রায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল উৎসব বা হোলি (Holi)। সারা ভারত জুড়ে এই রঙের উৎসব পালন করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে আয়োজিত দোল উৎসবের মাহাত্ম্য যদিও বেশ খানিকটা আলাদা। হিন্দু ধর্মের শুভ উৎসব হলো দোল পূর্ণিমা। এই দোল উৎসব উপলক্ষে কোথাও কোথাও রাধা কৃষ্ণের বিশেষ পুজো হয়।

বাংলার বিখ্যাত হোলি (Holi) সেলিব্রেশন

কোথাও আবার রংয়ের উৎসব হিসেবে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। বাংলার কোন কোন স্থানে দোল (Dolyatra) উৎসব বিখ্যাত। বসন্ত উৎসবের কথা মাথায় এলেই সবার আগে মনে আসে রবি ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের কথা। দোল উৎসবকে কেন্দ্র করে শান্তিনিকেতনের জনসাধারণ থেকে শুরু করে সকলেই মেতে ওঠেন আনন্দে কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজন, বসন্ত উৎসবের আগের দিন রাতে এবং উৎসবের দিনে হয় বৈতালিক।

আরও পড়ুন : “আমি মিম মেটিরিয়াল…”, স্বামী-স্ত্রী থেকে দাদা-বোন! বিতর্ক নিয়ে বিষ্ফোরক ‘ফুলকি’ দিব্যানী

এছাড়াও ডান্ডিয়া নাচ সহ বসন্তকে আহ্বান জানানো হয় আবিরের রঙে। যদিও কয়েক বছর ধরে শান্তিনিকেতনের দোল উৎসব হচ্ছে শুধুই নিয়ম রক্ষার তাগিদে। দোল উৎসবের দিনকে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। সেদিন মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যসহ রাধা কৃষ্ণের পূজার আয়োজন করা হয় বিভিন্ন মন্দিরে।

আরও পড়ুন : “ম্যাচিওর” হিরোর কমবয়সী নায়িকা, “বাবা-মেয়ে” বলে ট্রোল! রুবেল-জিতুর থেকে কত ছোট মোহনা-দিতিপ্রিয়া?

বৈষ্ণবদের বিশ্বাস অনুসারে, দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা অন্যান্য গোপিনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতে ছিলেন। সেই উপলক্ষে নদীয়ার নবদ্বীপে বিশেষ দোল উৎসব পালন করা হয়। প্রচুর সংখ্যক টুরিস্ট নদীয়া জেলায় হাজির হন এই দোল উৎসব দেখার জন্য। মায়াপুরের ইসকনের মন্দিরে দেশ-বিদেশের ভক্তরা আসেন দোল উৎসব উপলক্ষে।

প্রায় একমাস আগে থেকে এখানে প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় কৃষ্ণ প্রেমে বিদেশীরাও দোল উৎসবের অংশগ্রহণ করেন এবং একে অপরকে আবিরের রঙে রাঙিয়ে দেন। ১৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা দুর্জান সিং দেব নির্মিত বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ রাধাকে সম্মান জানাতে দোল উৎসবের আয়োজন করা হয়।

Famous Holi celebration in west bengal

এই মন্দির গুলিতে হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত খোদাই করা রয়েছে। দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসব আয়োজিত হয় পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে। টুরিস্টরা এসে এখানে লোকশিল্প উপভোগ করেন। ছৌ নাচ থেকে শুরু করে, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান কি না নেই এখানে। মূলত বসন্ত উৎসবকে উদযাপন করা হয় এখানে।

পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) আরও বিভিন্ন জায়গায় হোলি (Holi) উদযাপিত হয়। কোথাও শ্রীকৃষ্ণ রাধার দোল যাত্রা, কোথাও বসন্তকে আহবান জানিয়ে বসন্ত উৎসব পালিত হয়। দোল উৎসব উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি মথুরা এবং রাধার জন্মভূমি বৃন্দাবনে ১৬ দিন ধরে পালিত হয় উৎসব। সারা দেশের মানুষ মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে। চলতি বছরে ১৩ মার্চ দোল পূর্ণিমা আর হোলি উৎসব পড়েছে ১৪ মার্চ।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর