ভারতের নাম উজ্জ্বল করল এই দুটি স্কুল! নাম লেখাল বিশ্বের সেরা তিন স্কুলের তালিকায়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : কথায় বলে শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড। দেশ-সমাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সে ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব সব থেকে বেশি একটি মানুষের প্রারম্ভিক জীবনে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা স্কুল থেকেই একজন মানুষ শিক্ষা লাভ করে। স্কুলেই তৈরি হয় একটি শিশুর ভিত।

পরবর্তীকালে সেই ভিতের উপর নির্ভর করে সেই শিশুটির জীবন অতিবাহিত হয়। প্রত্যেক অভিভাবকদেরই ইচ্ছা থাকে তাদের সন্তান যেন স্কুলে সেরা পঠন-পাঠনটি পান। বিশেষ করে বর্তমান সময়ে স্কুল নির্বাচন নিয়ে চিন্তার শেষ নেই অভিভাবকদের। স্কুলের পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবেশ ভালো হওয়াও আবশ্যিক। একটি সুস্থ পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে সুস্থ সমাজ।

আরোও পড়ুন : বয়কট হবে গোদি মিডিয়া! তালিকা তৈরী করে এবার সরব ‘ইন্ডিয়া’ জোট

তাই শুধু পড়াশোনা বা রেজাল্ট নয়, বিশেষজ্ঞরা স্কুলের পরিবেশ ও অন্যান্য বিষয় খতিয়ে দেখে নির্বাচিত করলেন বিশ্বের সেরা তিনটি স্কুলকে। এই সেরা তিনটি স্কুলের মধ্যে দুটিই ভারতের। ইংল্যান্ডে হওয়া এই প্রতিযোগিতায় ভারতের যে দুটি স্কুল স্থান পেয়েছে সেগুলি হল মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের একটি দাতব্য বিদ্যালয়, স্নেহালয় ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও গুজরাতের আহমেদাবাদের একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক স্কুল, রিভারসাইড স্কুল।

1691684124489l8ainumryc10saei4mcpeszjpvhrlbtfknk7bmgs

মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরের দাতব্য বিদ্যালয়টি বিশেষভাবে অবদান রেখেছে এইচআইভি ও যৌনকর্মীদের পরিবার থেকে উঠে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষেত্রে। এই সকল পরিবারের শিশুদের জীবন বদলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই দাতব্য স্কুলটির অবদান অনস্বীকার্য। অন্যদিকে, গুজরাতের রিভারসাইড স্কুল সেরার তকমা পেয়েছে উদ্ভাবনী শক্তির জন্য।

icon school

বাছাইকারি সংস্থা সেরা স্কুলের তালিকা তৈরি করেছে পরিবেশগত ক্ষেত্রে উদ্যোগ অর্থাৎ ‘কমিউনিটি কোলাবরেশন’, উদ্ভাবন শক্তি, প্রতিকূলতা কাটিয়ে ওঠা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনের মতো পাঁচটি বিভাগে। একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সমাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে বিশেষ করে কোভিডের সময়ে আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে স্কুলগুলির ভূমিকা ও কার্যকলাপ দেখে এই বাছাই করা হয়েছে।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর