বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত বড় আপডেট সামনে এসেছে। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, দিল্লির (Delhi) উপরাজ্যপাল বিনয় কুমার সাক্সেনা শুক্রবার বিখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায়ের (Arundhati Roy) বিরুদ্ধে ২০১০ সালে একটি অনুষ্ঠানে “উস্কানিমূলক বক্তব্যের” জন্য “Unlawful Activities Prevention Act (UAPA)-এর অধীনে মামলার অনুমতি দিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, ২০১০ সালের ২১ অক্টোবরে “আজাদী-একমাত্র উপায়”-এই ব্যানারে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্য তৈরি একটি কমিটি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। ওই অনুষ্ঠানে বক্তাদের মধ্যে ছিলেন বুকার পুরস্কার বিজয়ী লেখিকা অরুন্ধতী রায়। এমতাবস্থায়, ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত লেখিকা অরুন্ধতী রায় এবং অন্যান্য বক্তাদের বিরুদ্ধে একটি FIR নথিভুক্ত করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ওই সম্মেলনে তাঁদের বিরুদ্ধে উত্তেজক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগও তোলা হয়।
এই বিষয়ে অভিযোগটি ২০১০ সালের ২৮ অক্টোবর সুশীল পণ্ডিত আদালতে পাঠিয়েছিলেন। তারপরে আদালত ২৭ নভেম্বর একটি FIR নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেয়। অভিযোগের এক মাস পরে, ২৯ নভেম্বর সুশীল পণ্ডিতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগকারী নতুন দিল্লির এমএম কোর্টে সিআরপিসি-র ১৫৬ (৩) ধারার অধীনে অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে, দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে আইপিসির ১২৪-A/১৫৩A/১৫৩B/৫০৪ এবং ৫০৫ ধারা ও ১৩ UA (P) আইনের অধীনে মামলা দায়ের করে। UAPA-এর অধীনে বিচার করার অনুমোদন দেওয়ার আগে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে, এলজি সাক্সেনাও আইপিসির ১৫৩ A/১৫৩ B এবং ৫০৫ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধের জন্য সিআরপিসি-র ১৯৬ ধারার অধীনে অনুমোদন দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: DA বৃদ্ধির পর এবার “আসল সুখবর” পেলেন সরকারি কর্মীরা, হল বিরাট ঘোষণা
জানা গিয়েছে, অরুন্ধতী রায় যে সম্মেলনে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠছে সেই সম্মেলনে আলোচিত বিষয়গুলির মধ্যে “ভারত থেকে কাশ্মীর বিচ্ছিন্নকরণ”-এর প্রচার করা হয়। সম্মেলনে যাঁরা বক্তৃতা দিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ আলী শাহ গিলানি, এসএআর গিলানি (সম্মেলনের উপস্থাপক এবং সংসদ হামলা মামলার প্রধান অভিযুক্ত), অরুন্ধতী রায়, ডক্টর শেখ শওকত হুসেন এবং মাওবাদী সমর্থক ভারা ভারা রাও।
আরও পড়ুন: শিয়ালদহর পর এবার হাওড়া! টানা ১০ দিন বাতিল ১৬৬ লোকাল, ৬৪ টি এক্সপ্রেস ট্রেন, দেখুন লিস্ট
অভিযোগ ছিল যে, গিলানি এবং অরুন্ধতী রায় দৃঢ়ভাবে প্রচার করেছিলেন যে, কাশ্মীর কখনই ভারতের অংশ ছিল না এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দ্বারা জোরপূর্বক দখল করা হয়েছিল। তাঁদের মতে, জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভারতের কাছ থেকে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য সম্ভাব্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করা উচিত। এদিকে, সম্পূর্ণ সম্মেলন অভিযোগকারী দ্বারা রেকর্ড করা হয়েছিল।