বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জেলে হাজতবাসের পরেই কি আচমকা চরিত্র বদল ঘটলো রোদ্দুর রায়ের? জনপ্রিয় ইউটিউব স্টারের আচরণ নিয়ে বর্তমানে ধন্দে পুলিশ আধিকারিকরাই। আপাতত লালবাজার সেন্ট্রাল লকআপে দিন কাটছে তাঁর। মাঝেমধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুখোমুখি হতে হচ্ছে পুলিশের। তবে একটি ক্ষেত্রেও তাঁর মুখ থেকে বের হচ্ছে না কোন রকমের গালিগালাজ কিংবা কটূ শব্দ আর এতেই তাক লেগেছে সকলের। তবে কি গালিগালাজ ভুলে ভালো রাস্তা অবলম্বন করলেন অনির্বাণ রায় ওরফে রোদ্দুর! নাকি পুরোটাই পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়ার উপায়, তা অবশ্য জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিওয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ এবং বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যায় এই ইউটিউবারকে। এরপরই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত গোয়া থেকে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন রোদ্দুর। অবশ্য সেই গ্রেফতারি নিয়ে কম নাটক হয়নি। গোয়া থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার সময় তাঁর সমর্থনে একাধিক মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা যায়, এমনকি আদালত চত্বরেও সেই একই দৃশ্য চোখে পড়ে। তবে পরবর্তীকালে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে আর এরপরেই রোদ্দুর রায়ের বদলে যাওয়া স্বভাব দেখে হতবাক পুলিশ মহল।
জানা গিয়েছে, জেলের ভেতর হোক কিংবা জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে কারোর উদ্দেশ্যেই কোনওরকম গালিগালাজ করছেন না তিনি। মুখে নেই তাঁর কোন খারাপ শব্দ। মাঝেমধ্যে নিজের মনে কথা বলার পাশাপাশি কেবল মোক্সাবাদ বুঝিয়ে চলেছেন। তবে সেটি কী, তা সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারেনি কেউই।
উল্লেখ্য, বর্তমানে জনপ্রিয় ইউটিউবারের বিরুদ্ধে ৪১৭, ১৫৩, ৫০১, ৫০৪, ৪৬৫, ৪৬৭, ৪৬৮ ধারার অধীনে মানহানি, বিতর্কিত মন্তব্য ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ক্ষেত্রে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ‘মোক্সাবাদ’ ছাড়া আর কিছুই বলছেন না তিনি। অবশ্যই এসকল ভিডিও যে তাঁরই বানানো, সে বিষয়ে স্বীকার করে নিয়েছে রোদ্দুর। কিন্তু বাকি প্রশ্নের উত্তরে নীরবতা আদৌ কিসের ইঙ্গিত, সে বিষয়ে ধন্দে প্রশাসন।