উত্তর প্রদেশের (UP) বুলেন্দখণ্ডের নাম শুনে আমাদের মনে যে ছবিটি আসে তা হ’ল – ‘শুকনো ও বন্ধ্যা বাদামী মাটি’! উত্তর প্রদেশের বুলেন্দখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চল অব্যাহত খরার কবলে পড়েছে। ২০১৮ সালে, এই অঞ্চলটি খরা-প্রবণ হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময়কার পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিলে, গত পাঁচ বছরে এটি চতুর্থবার ছিল। খরার কারণে কৃষকরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং ফসলের দরিদ্রতা এবং ক্রমবর্ধমান খরার কারণে হাজার হাজার কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।াবার অনেকে তাদের পৈতৃক কাজ পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বান্দার বদোকর খুরদ গ্রামের বাসিন্দা প্রেম সিংহের গল্প আমাদের আশার এক রশ্মি দেখায়।
বুলেন্দখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চল এর মধ্যেও ব্যাতিক্রম ঘটিয়েছে ৫৬ বছর বয়সী প্রেম সিং। তিনি কৃষিতে পৃথকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জলের ঘাটতি নিয়ে লড়াই করা কৃষকদের জন্য একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন। জলের ঘাটতি সত্ত্বেও, গরু এবং পাখিদের পান করার জন্য প্রেম সিং ৩২ বিঘা জমিতে জলাশয় তৈরি করেছে। এমনকি বাড়িতেও বাগান আছে।
নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের আয়ও যথেষ্ট বেড়েছে। চার একর জমিতে প্রেম সিংয়ের ‘রোটাল ফার্মিং’ কৌশলটি বার্ষিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা আয় করেন। উনি তরুণ কৃষকদের জন্য একটি উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছেন, যেখানে কৃষিকাজের কলা শেখানো হয়।
প্রেম সিং জানান “১৯৮৭ সালে, আমি আমার বাবার সাথে কাজ শুরু করি। তিনি সময়ের সাথে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া একজন কৃষক ছিলেন। আমি কেবল তাকে অনুসরণ করেছি। তখন ইউরিয়া এবং ডেমোনিয়াম ফসফেটের মতো রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহৃত হত। যদিও প্রথমদিকে ফলন ভাল ছিল তবে আমাদের মাটির গুণগতমান ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছিল এবং উত্পাদন ব্যয় আমাদের বার্ষিক আয়ের চেয়ে অনেক বেশি ছিল।