ঘরের বাগানকে পরিচর্যার মাধ্যমে বানিয়ে ফেলেছেন একটি নার্সারি, কৃষক দম্পতি প্রতি মাসে কামাচ্ছেন ২ লক্ষ টাকা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিগত ৩৬ বছর ধরে ১৫০০০ বর্গফুট জমির উপর ফুলের চাষ করে তাক লাগালেন কেরালার (Kerala) এই দম্পতি। চাকরির পাশাপাশি তারা তাঁদের এই বাগান পরিচর্যাও করে চলেছেন। তাঁদের বাগানে ফুটে থাকা সুন্দর সুন্দর ফুল সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এই বাগান থেকে তারা প্রতি মাসে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় করে।

বিন্দু জোসেফ এবং তাঁর স্বামী জোজো, তাঁদের এই কাজের জন্য ২০০৩ সালে কেরলের যুব কৃষক পুরস্কার এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে জাতীয় প্রগতিশীল কৃষক পুরষ্কারে সম্মানিত হয়েছেন।

2 58

পরিবার সূত্রে এই কাজ শুরু
পরিবার সূত্রেই এই বাগান পরিচর্যার কাজ করতেন তারা। বিন্দু জোসেফ বিয়ের পর তাঁর শাশুড়ির থেকে কৃষিকাজের অনেক কৌশল শিখেছেন বলেও জানিয়েছেন। কিছুদিন পর তাঁদের সন্তানের জন্মের কিছু বছর পর বিন্দু পেরামব্রার সেন্ট মিরার উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অর্থনীতির শিক্ষাকতা করতে শুরু করেন। তখন জোজো জ্যাকব বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি নার্সারি তৈরি করেন। স্কুলের পরে বিন্দুও সেখানেও জোজোকে সাহায্য করত। তাঁদের বাগানে প্রথমদিকে বোগানভিলা ছাড়াও হলুদ, আদা, কালো মরিচ, লিচি উৎপন্ন হয়েছিল।

1 65

ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেল বাগানের সুনাম
মাত্র এক বছরের মধ্যেই তাঁদের বাগান বৃদ্ধি পেতে শুরু করল। তারপর তারা সেখান থেকে গাছ এবং ফুল বিক্রি করতে শুরু করে। এইভাবে তাঁদের এক ক্লায়েন্ট মারিয়া থমাসের বাড়িতে সুন্দর একটি বাগান সাজিয়ে দিয়েছেন তারা। ফুলের চাষের পাশাপাশি তারা আবহাওয়া অনুযায়ী অন্যান্য গাছের চাষ শুরু করে। হলুদ, আদা, লিচি, আম, বোগেনভিলা চাষ করেন। গাছের প্রয়োজন বুঝে তারা সেগুলো পরিচর্যাও করে।

সম্মানিত হয়েছন বিশেষ সম্মানে
এই কৃষক দম্পতি তাঁদের চাষের জন্য নানাবিধ সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর থেকে জাতীয় প্রগতিশীল কৃষি পুরষ্কার তারা পুরস্কার পেয়েছন। এই পুরস্কার লাভের পর ভারতীয় মশলা গবেষণা কোজিকোড প্রশাসনের অধীনে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র কোজিকোডে কৃষিকাজ করার জন্য নার্সারি স্থাপনে তাঁদের স্পনসর করার সিদ্ধান্ত নেয়।

3 36

রয়েছে একটি ইউটিউব চ্যানেলও
সকাল ৫ টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত তাদের প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যে রয়েছে কৃষিকাজ, গাছ ফুল বিক্রয়, শিক্ষাদান এমনকি অনুপ্রেরণামূলক আলোচনার ক্লাস। বিন্দু জানান, রোজ সকাল ৫ টায় উঠে তিনি প্রথমে বাগান পরিচর্যার কাজ করে সকলের খাবার বানিয়ে স্কুলে যান। ফিরে এসে বিকেল চারটেয় আবার তিনি স্বামীর কাজে সহায়তা করেন। এইভাবে তারা কখনও রাত ১১ টা অবধি বাগানের কাজ করেন। তাঁদের একটি ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। যেখানে প্রায় ৬৪০০০ ফলোয়ারও রয়েছে। তাঁদের বাগান দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়েছেন। সেই সঙ্গে প্রশংসাও করেছেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর