ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি এবং জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহকে ((Farooq Abdullah) জননিরাপত্তা আইন (PSA) এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। PSA এক্ট আইনে গ্রেফতার ফারুক আব্দুল্লাহ প্রথম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং সাংসদ। প্রথমত জানিয়ে দি, ফারুক আব্দুল্লাহ ৫ আগস্ট থেকে নিজের বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু এখন উনাকে PSA এক্ট এর আওতায় গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। রবিবার দিন উনাকে PSA এর অধিনিয়মে গ্রেফতার করে নেওয়া হয়েছে। এই আইনে কোনও বিচার ছাড়াই টানা দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বাবার তৈরি আইনে ফেঁসে গেল ছেলে
মজার বিষয় হচ্ছে এই আইনটি 1978 সালে কাশ্মীরে ফারুক আবদুল্লাহর বাবা শেখ আবদুল্লাহ দ্বারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মহম্মদ শেখ আব্দুল্লাহ ১৯৭৮ সালে PSA আইন শুরু করেছিলেন। জঙ্গল অবৈধভাবে কেটে ফেলা লোকজনেদের সাজা দিতে এই আইন করা হয়েছিল। পরে এই আইন সেই সমস্ত লোকের উপরেও লাগু হতো যারা আইন শৃঙ্খলার বাধা হয়ে দাঁড়াতো। কিন্তু এখন মহম্মদ আব্দুল্লাহর তৈরি আইন তার ছেলে ফারুক আব্দুল্লাহর জন্য প্রয়োগ হয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে PSA আইন ১৯৭৮ সালের ৪ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপাল দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। কাঠের পাচার বন্ধ এবং চোরাকারবারীদের প্রচলন থেকে দূরে রাখতে কড়া আইন হিসাবে শেখ আবদুল্লাহর সরকার আইনটি চালু করেছিল। এই আইন 16 বছরের বেশি বয়সের কাউকে কোনও প্রসিকিউশন ছাড়াই 2 বছরের জন্য বন্দী করে রাখার অনুমতি দেয়। ২০১০ সালে, আইনে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল এবং এটি নরম করা হয়েছিল। আইনের পরিবর্তন অনুযায়ী- প্রথমবার কেউ অন্যায় করলে তাকে ৬ মাসের সাজা দেওয়া হবে।
কিন্তু যদি বার বার কেউ অন্যায় করে তবে তার সাজা ২ বছর অবধি বৃদ্ধি করা যেতে পারে। এই আইনের আওতায় আটককৃত যে কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও মামলা, মামলা-মোকদ্দমা বা অন্য কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। এখন জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল যেখনের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছে রয়েছে। অর্থাৎ জম্মু-কাশ্মীর এখন অমিত শাহের নিয়ন্ত্রণে। জম্মু-কাশ্মীরে আতঙ্কবাদের উৎপাতের জন্য কিছু বিশেষ পরিবার ও বিশেষ লোকজনকে দায়ী করা হয়। অমিত শাহ এখন সেই পরিবার ও লোকজনের উপর একশন শুরু করেছেন যাতে শান্তি স্থাপনায় কোনো সমস্যা না হয়।