বাংলা হান্ট ডেস্ক : জন নিরাপত্তা আইনে আটক দেখানো হয়েছে ফারুক আবদুল্লাহকে। এর ফলে বিচার ছাড়াই তিন মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত আটক থাকবেন তিনি। শ্রীনগরে তাঁর বাড়িটি “জেল” হিসেবে ঘোষিত হবে। আইন অনুযায়ী, ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে যে কোনও ব্যক্তিকে আটক করতে পারে সরকার এবং দুবছর পর্যন্ত তার কোনও বিচার নাও হতে পারে। ২০১১ সালে এই বয়সসীমা ১৬ থেকে বাড়িয়ে ১৮ করা হয়।
১৯৭০ সালে জননিরাপত্তা আইন পাশ করিয়েছিলেন কাশ্মীরের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী তথা তাঁরই বাবা শেখ আবদুল্লাহ। প্রায় চার দশক আগের এই আইন অনুসারে, কোনও বিচার ছাড়াই এই আইনে যে কাউকে দুবছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যায়।
ওমর আবদুল্লাহ হচ্ছেন ফারুক আবদুল্লাহর ছেলে, অর্থাৎ শেখ আবদুল্লাহর নাতী।
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি পুরো উপত্যকা জুড়ে কারফিউ জারি করে ভারত সরকার। একইসঙ্গে গ্রেফতার করা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের হাজার হাজার জনগণ ও শতাধিক রাজনৈতিক নেতাকে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতি।