বাংলাহান্ট ডেস্কঃ জম্মু কাশ্মীরের রোশনি আইন বাতিল হয়ে গেলেও, এই কেসে জড়িত রয়েছে বেশ কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তি। জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) বোন, একজন কংগ্রেস নেতা এবং দুজন হোটেল ব্যবসায়ীর নাম জড়িত রয়েছে। রোশনি আইনের আয়ত্তায় জমি অধিগ্রহনের ১৩০ জনের দ্বিতীয় তালিকায় এই নামগুলো উঠে এসেছে।
রোশনি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের
জম্মু কাশ্মীরের রোশনি আইন নিয়ে ভালোই জলঘোলা চলছে। সরকারী জমি জলের দরে অধিগ্রহণ করে নেওয়ার এই আইন বাতিল হয়ে গেলেও, একের পর এক পর্দা সরতে শুরু করেছে এই কেসের উপর থেকে। সমাজের বেশিরভাগই গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে পড়ছে এই কেলেঙ্কারিতে।
নাম উঠেছে ৩৫ জন সুবিধাভোগীর
কাশ্মীরের বিভাগীয় কমিশনারের ওয়েবসাইটে এই কেস সংক্রান্ত যে নতুন তালিকা আপলোড করা হয়েছে, তাতে একজন প্রাক্তন আমলা এবং তাঁর স্ত্রীর নামও উঠে এসেছে। মোট ৩৫ জন সুবিধাভোগীর নাম আপলোড করা হয়েছে।
CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট
জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টের ৯ ই অক্টবরের নির্দেশনা অনুযায়ী, এটি বিভাগীয় প্রশাসন কর্তৃক জারি করা সুবিধাভোগীদের দ্বিতীয় তালিকা। তবে ইতিমধ্যেই হাইকোর্ট রোশনি আইনকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে অধিকৃত জমির বিষয়ে CBI তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই সুবিধাভোগীদের তালিকায় কংগ্রেস নেতা তথা হোটেল ব্যবসায়ী কে কে আমলা, মোশতাক আহমেদ ছায়া, প্রাক্তন আমলা মোহাম্মদ শফি পণ্ডিত ও তাঁর স্ত্রীর নাম পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া এই তালিকায় নাম উঠে এসেছে ফারুক আবদুল্লাহর বোন সুরিয়া আবদুল্লাহেরও (Suriya Abdullah)।