করোনা কেড়েছে বাবাকে! মা-ভাই ভর্তি হাসপাতালে, তবুও নিজের কর্তব্য করে চলেছেন চিকিৎসক

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনার (covid-19) দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ ভাবে হানা দিয়েছে ভারতে (india)। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমিত এবং মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কাছে অবিচল রয়েছে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীরা। এই সময় তাদের পরিবার পরিজনের কথা না ভেবেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে এই যুদ্ধে।

এমনও অনেক সময় দেখা গিয়েছে কাছের মানুষের সৎকার করে আবারও কিছু সময়ের মধ্যেই নিজেকে সামলে নিয়ে ফিয়ে গিয়েছেন কাজে। গায়ে পড়ে নিয়েছেন পিপিই কিট, ফিরে গিয়েছেন লড়াইয়ের মাঠ হাসপাতালে। সেরকমই নিজের কর্তব্যে অবিচল থাকলেন পুণের (Pune) সঞ্জীবন হাসপাতালের ডিরেক্টর মুকুন্দ।

কিছুদিন আগেই করোনা তাঁর বাবাকে কেড়ে নিয়েছে। এরপর তাঁর মা এবং ভাইও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাদের শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে একদিকে যেমন মানসিক চাপ বাড়ছে, অন্যদিকে নিজের কর্তব্যে অবিচল রয়েছেন পুণের সঞ্জীবন হাসপাতালের ডিরেক্টর মুকুন্দ।

জীবনযুদ্ধের এই পর্যায়ে দাঁড়িয়ে পরিবার অপেক্ষা নিজের কাজকেই প্রাধান্য দিতে হচ্ছে তাঁকে। বিন্দুমাত্র গাফিলতি করছেন না নিজের কাছে। তিনি জানান, ‘বর্তমান পরিস্থিতি খুবই কঠিন। আমরা কখনই হাতে হাত রেখে চুপচাপ বসে থেকে মানুষের মৃত্যু দেখতে পারব না’।

সংকটের এই পরিস্থিতিতে ভারতের সাহাযার্থে এগিয়ে এসেছে বহির্বিশ্বের নানান দেশ। বন্ধু দেশ থেকে শুরু করে প্রতিবেশি দেশ- এই পরিস্থিতিতে অক্সিজেন এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সাহায্য করেছে ভারতকে। ইতিমধ্যেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা, জাপান, সৌদি আরব, বাংলাদেশ, ফ্রান্স, রাশিয়া, ব্রিটেন, ভুটান সহ নানা দেশ।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর