বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিয়েবাড়ি মানে একটি আনন্দের অনুষ্ঠান। বরপক্ষ ও কনেপক্ষের তরফের অতিথিরা মিলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। বিয়েবাড়ি মানেই কবজি ডুবিয়ে খাওয়া দাওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের (Bangladesh news) এক বিয়েবাড়ি কার্যত রণক্ষেত্রের জায়গা নিল। মাংসের কম পরিমাণ নিয়ে বর ও কনেপক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি গড়াল সংঘর্ষে। তাতে বেঘোরে প্রাণ হারালেন বরের বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর জলঢাকায়। শুক্রবার রাতে বিয়েবাড়িতে এসে গিয়েছিল বরপক্ষ। নিয়ম মতো কবুলনামা পড়ানো হবে। জলঢাকার আমরুলবাড়ী গ্রামের বগুলাগাড়ীর বাসিন্দারা সবাই উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের আনন্দে খুশির পরিবেশ চারদিকে। আনারুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতুল আক্তারের সঙ্গে নুর মহম্মদের ছেলে আলির বিয়েও সম্পন্ন হল।
এরপর ছিল খাওয়ার পালা। কিন্তু হঠাতই তাল কাটল। বিয়েতে বরের তরফে আসার কথা ছিল ১০০ জন অতিথির। কিন্তু এসে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ২৫০ জন অতিথি। ফলে খাবার, বিশেষত মাংস কম পড়ে। আর এতেই বেজায় চটে যান বরপক্ষের লোকজন। কনেপক্ষের লোকজনের সঙ্গে শুরু করেন কথা কাটাকাটি। সেখান থেকে হঠাৎ শুরু হয় মারামারি। যা ক্রমে সংঘর্ষের আকার নেয়।
অভিযোগ, কনেপক্ষের লোকজন বরের বাবাকে মারধর করতে শুরু করেন। প্রচণ্ড মারের চোটে অসুস্থ হয়ে পড়েন বরের বাবা নুর মহম্মদ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যাওয়ার পথেই তিনি মারা যান। নিহত নুর মহম্মদ রংপুর নগরীর হাজিরহাট উত্তম বাওয়াই পাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন বিয়ে শেষ হওয়ার পর কনেকে নিয়ে বাড়ি চলে যান বর।
কিন্তু যাওয়ার সময় নুর মহম্মদ কনের বাবা আনারুল ইসলামকে বলেন মাংস কম হয়েছিল। আপ্যায়নেই ঘাটতি ছিল। এর থেকেই তর্ক শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে। ক্রমে তা বাড়তে বাড়তে হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। ঘটনার তদন্তে নেমে কনের বাবা আনারুল ইসলাম-সহ দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। নুর মহম্মদের মৃতদেহও ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার জেরে এলাকায় বিয়েবাড়ির আনন্দময় পরিবেশের পরিবর্তে শোনা যাচ্ছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা।