বাংলাহান্ট ডেস্ক: সবে মঙ্গলবারই নতুন জীবন শুরু করেছিলেন OYO রুমসের মালিক রীতেশ আগরওয়াল (Ritesh Agarwal)। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই তাঁর জীবনে নেমে এল অন্ধকার। বাবাকে দুর্ঘটনায় হারালেন তিনি। মঙ্গলবারই রীতেশের বিয়ে হয়েছিল গীতাংশা সুদের সঙ্গে। এখনও আনন্দের রেশ কাটেনি। তার মধ্যে হঠাতই এমন শোকের ছায়া নেমে এল আগরওয়াল পরিবারে। শুক্রবার হরিয়ানার গুরুগ্রামের একটি বহুতল আবাসন থেকে পড়ে মৃত্যু হল তাঁর।
OYO-র প্রতিষ্ঠাতা রীতেশ আগরওয়াল ইতিমধ্যেই একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। সেখানে লিখেছেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি আমার শক্তি-পথ প্রদর্শক বাবাকে ১০ মার্চ হারিয়েছি। তিনি আমায় সারাজীবন অনুপ্রাণিত করে এসেছেন। প্রতিদিন অনেক কিছু শিখেছি তাঁর থেকে। তাঁর প্রয়াণ আবার এবং পরিবারের কাছে অপূরণীয় এক ক্ষতি।” তিনি আরও বলেছেন, “কঠিন সময়ে লড়াই করা শিখেছি আমার বাবার থেকেই। তাঁর প্রতিটি কথা আমি মনে রাখব।”
পাশাপশি তিনি এই কঠিন সময়ে সকলের কাছে গোপনীয়তা চেয়েছেন। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গুরুগ্রামের একটি বহুতল আবাসন থেকে পড়ে গিয়েছিলেন রীতেশের বাবা রমেশ আগরওয়াল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিন্তু কী ভাবে তিনি পড়ে গেলেন, তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। গোটা ঘটনা ঘিরে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
সম্প্রতি সাত পাকে বাঁধা পড়ে রিসেপশন পার্টির আয়োজন করেছিলেন রীতেশ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, ভারত পে-র প্রতিষ্ঠাতা অশনীর গ্রোভর, বোট-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আমন গুপ্তা প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং শিল্পপতি মুকেশ আম্বানিও। এই অনুষ্ঠানের চাঁদের হাট বসেছিল দিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে।
প্রসঙ্গত, মাত্র ১৭ বছর বয়সে ব্যবসা শুরু করেছিলেন রীতেশ। সেই সময় তাঁকে সমর্থন ও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিলেন তাঁর বাবাই। কলেজ ছেড়ে পুরোপুরি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেছিলেন রীতেশ। অনেকেই ভেবেছিল, ১৭ বছরের রীতেশ ব্যবসাটি করতে পারবেন না। তাই অনেকেই তাঁকে সে সময় সমর্থন করেননি। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমাণিত করে একটি সফল ব্যবসা দাঁড় করিয়েছিলেন এই তরুণ ব্যবসায়ী। বিভিন্ন সাক্ষাৎকারেও বাবার অবদান সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।