৯ জন সন্তানকেই সাইকেলে চাপিয়ে গন্তব্যে চললেন বাবা! ভাইরাল ভিডিও দেখে অবাক নেটিজেনরা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রত্যেক পিতা-মাতার কাছেই তাঁদের সন্তান সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। এছাড়াও, সন্তানরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বড় হয়ে উঠতে পারে সেই চেষ্টাতেও কোনো খামতি রাখেন না তাঁরা। এক কথায়, প্রত্যেকটি সন্তানের কাছেই আশ্রয়স্থল হল তাদের পিতা-মাতা। এবার এই চিরন্তন সত্যকেই ফের একবার প্রমাণিত করে অনবদ্য একটি দৃশ্য সামনে এসেছে। যেখানে একজন লড়াকু পিতার প্রসঙ্গ উপস্থাপিত হয়েছে।

পাশাপাশি এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে নেটমাধ্যমে। আর যা দেখে চমকে গিয়েছেন সকলেই। পাশাপাশি, সন্তানদের জন্য একজন বাবা যে কতটা কষ্ট করতে পারেন তাও স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে ভিডিওটিতে। আর যে কারণেই এই ভিডিওটি তুমুল ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

   

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে নেটমাধ্যম আমাদের কাছে এমনই একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আমরা দিনের বেশ কিছুটা সময় কাটাই। এছাড়াও, কাজের ফাঁকেই হোক কিংবা অবসরে এইখানে ভাইরাল হওয়া ভিডিওগুলিও দেখতে ভালোবাসেন সকলেই। মূলত, মনোরঞ্জনের জন্য এখানে অধিকাংশ ভিডিও পাওয়া গেলেও সেগুলির মধ্যে এমন কিছু ভিডিও থাকে যা সরাসরি আবেগাপ্লুত করে দেয় নেটিজেনদের। এই ভিডিওটির ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে।

কি দেখা গিয়েছে ভিডিওটিতে?
মূলত, ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে যে, একজন পিতা তাঁর নয় সন্তানকে নিয়ে অবলীলায় সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যের দিকে এগিয়ে চলেছেন। পাশাপাশি, ছোট ছোট শিশুগুলিও সুন্দর ভাবে বসে রয়েছে সাইকেলটিতে। কেউ কেউ আবার তাদের বাবার গলা আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়েও রয়েছে। এক্কেবারে সাইকেলের পেছনের কেরিয়ার থেকে শুরু করে সামনের চাকার ওপর পর্যন্ত অভিনব ভাবে বসে রয়েছে তারা। যদিও তাদের পোশাক পরিচ্ছদ দেখে মনে হচ্ছে যে, তাদেরকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।

এদিকে, এই ভিডিওটিই বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নেটমাধ্যম। পাশাপাশি ক্রমশ দর্শকসংখ্যা এবং লাইক বাড়ছে এটিতে। ৯ জন সন্তানকে নিয়েও যে এভাবে সাইকেল চালিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া যায় তা কার্যত প্রমাণ করে দিয়েছেন ওই ব্যক্তি। এদিকে এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন। অনেকেই বিভিন্ন মজাদার কমেন্টের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি উপস্থাপিত করলেও অধিকাংশজনই ওই পিতাকে কুর্ণিশও জানিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর