পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ! হাইকোর্টে ছুটলেন মুর্শিদাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবার, পাশে সজলরা

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওয়াকফ আইন বিরোধী প্রতিবাদের জেরে এপ্রিল মাসে তেতে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad Violence)। ‘নবাবের শহরে’র নানান প্রান্তে দেখা যায় অশান্তির ছবি। সেই আবহেই খুন হন হরগোবিন্দ দাস ও তাঁর ছেলে চন্দন দাস। এবার তাঁদের পরিবারই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন। পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তাঁরা।

মামলা দায়েরের অনুমতি মিলল?- (Calcutta High Court)

মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলেকে খুনের ঘটনার জল গড়িয়েছে বহুদূর। সম্প্রতি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক তাঁদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলও হরগোবিন্দ-চন্দনের বাড়ি গিয়েছিল।

সম্প্রতি শোনা যায়, নিহতদের স্ত্রীদের অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশের তরফ থেকে অপহরণের দাবি করা হয়। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টাও করেন উর্দিধারীরা। এবার তাঁদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল দাস পরিবার। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের (Justice Tirthankar Ghosh) এজলাসে মামলা দায়েরের আর্জি জানান তাঁরা। সেই অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি।

আরও পড়ুনঃ ৪ বছরে ঢালাও উন্নয়ন! নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে কী কী কাজ করেছেন? খতিয়ান পেশ শুভেন্দুর

জানা যাচ্ছে, সোমবার বিধাননগরের সেফ হাউস থেকে কলকাতা হাইকোর্টে যায় হরগোবিন্দ ও চন্দনের পরিবার। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর সজল ঘোষ ও পদ্ম নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি।

Calcutta High Court

অভিযোগ করা হয়, রবিবার রাতে বিধাননগরের সেফ হাউসে যান বিধাননগর পূর্ব থানার ৪০ জন পুলিশ আধিকারিক। দরজা ভেঙে হরগোবিন্দ-চন্দনের পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে অপহরণের দাবি করা হলেও, নিহতদের পরিবার জানাচ্ছে, তাঁরা নিজেদের ইচ্ছায় বিধাননগরের সেফ হাউসে এসেছেন।

এই আবহে বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুর্শিদাবাদে নিহত বাবা-ছেলের পরিবার। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি ঘোষ। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর।

উল্লেখ্য, গত মাসের শুরুতেই সংবাদের শিরোনামে উঠে এসেছিল মুর্শিদাবাদ অশান্তি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সেই বিক্ষোভের আবহেই খুন হন জাফরাবাদ নিবাসী হরগোবিন্দ-চন্দন। এবার পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ এনে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হল তাঁদের পরিবার।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X